শুস্ক এক বৃদ্ধ বৃক্ষের মতো দন্ডায়মান আমি আজ ধূসর প্রান্তের অন্তরালে। ধীর,স্থির,শান্ত,অবচেতন মনে এখনও আমি কবিতার খোঁজ করি । কাউকে আঁকড়ে ধরার জন্যে আজও আমি উত্তাল।যে শুনবে আমার আকুতি,যার আনত চোখে প্রস্ফুটিত হবে আমার পরিণত সৃষ্টি।
.
.
আমি দেখেছিলাম এক উত্তপ্ত লাল জ্যোতির্ময় আভা ক্রমশ গ্রাস করছে আমাকে।সমস্ত অঙ্গে উন্মোচিত হচ্ছে অজস্র জ্বালা।কিন্তু কিছুই করার নেই ,কারণ আমার সৃষ্টির হাত আজ শিকলবদ্ধ।বিদ্রোহী হয়ে যে প্রতিবাদ জানাবো তার অমিত শক্তিও আমার ছিল না।
.
.
আমার পাশে ছিলো সেই মেয়ে যার কৃষ্ণগহ্বরের অতলে চাপা পড়েছিল তার কাব্য প্রতিভা। সে আমাকে বলতো–“নবীনের জয়গান গাও”।আমিও বলতাম তাকে–“অতীতের কাব্য প্রতিভাকে উন্মুক্ত করো”।
.
.
আমিও চাই এক চেতনাভুক কবি হতে।চাই আমার লেখা পরিস্ফুট হোক বইয়ের পাতায়।কবিতাই আমার প্রেম।আমি ভালোবাসি আমার লেখার প্রতিটি ছত্রে ফুটে ওঠা প্রাণবন্ত আবেগকে।
.
.
একবার স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে আমি দেখি একদিকে আমি উদাক্ত কণ্ঠে গাইছি –“আমার মুক্তি আলোয় আলোয়….” আবার অন্যদিকে দেখছি-বৃষ্টির পালক,ঘাসের আগায় শিশিরবিন্দু ,নিঃসঙ্গতার একাকিত্ব,হারানো সুর,ফেলে আসা স্মৃতি–সবকিছুকে নিয়ে অবিরল লিখে চলেছি একখানা বাঁধনহারা পদ্য।
.
.
কিন্তু অন্যদিকে সম্ভাবনা আজ আমার চোখে বিমূর্ত ছবি।জনস্রোতের অথৈ জলে আজ আমি অর্ধডুবন্ত।আমার অব্যক্ত বেদনা বিঁধছে আমায়।আমার আছে স্বপ্নভঙ্গের চাপা আক্ষেপ।আজ আমার আড়ষ্ঠ শরীর।
.
.
কালের যাত্রায় যদি মৃত্যুর মারণযজ্ঞে ভস্মীভূত না হই তাহলে শত সহস্র লেখা লিখবো।লিখবো একখানা মস্ত উপন্যাস আমার প্রিয় কবিনী কে নিয়ে। এখনআমি সমস্ত অবহেলার মধ্যেও হতে চাই ধ্যানমগ্ন এক সন্ন্যাসিনী……….।।
.
.
.
.