অবসাদ গিলে খাচ্ছে সময়,
ঘর উঠোনময় বেহায়া ভালোবাসা
দুঃখের চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছে
ক্লান্ত অবসন্ন জীবন ,
এরপর বেরিয়ে পড়তে হবে
পারিপার্শ্বিক দেখে ভারী কষ্ট হয়
তাই, লিখলাম….তোকে
‘অজানা লতার মতো গাছকে জড়িয়ে আকাশ
দেখার অভিলাস
গভীরতায়
জলের অভাব বড়ো বেশী
অনুভবের ভাবনাগুলো কবিতার মতো নয়
দুর্বোধ্য শব্দজালে সরলতা হারিয়ে হারিয়ে
হেঁয়ালির মতো সারারাত জমে,জমিয়ে
রাখি কার জন্য ? রূপোলি জলবিন্দুর মতো
টলোমলো কালের গল্পপাতায় !
বাস্তবের গুমোট অনুভব মাথা কুটে মরে |
সভ্যতা বিশ্বায়ন! সব মেকি,
ভেল্কি ,অভিনয়
উলঙ্গ ভিখারি শিশু
আজো পথে পথে হাঁটে
পকেটের দু টাকা ছুড়ে
চায়ের দোকানে বিস্তর সমাধান
মনুষ্যতর প্রাণী ছাড়া কিছু নয়!
সভ্যতা!সমাজ সংস্কারক মানায় না রে শুধু ঢপ্
সভ্যতা! কি খুঁজে মরতে হলো শেষমেষ
প্রলোভনে,নগ্ন নগরায়নে, বিজ্ঞাপনে,হোর্ডিং,ফেষ্টুনে
অসভ্যতো ভালোই মানিয়েছে এখন ,
সভ্যতার মুখোস পরে
ছিঁনে জোঁকের মতো সামাজিক শোষন তোষন
বাণিজ্যিক বেসাতি,অবহেলিত দরিদ্র মানুষ
মনুষ্যতর প্রাণীর ওপর বছরের পর বছর |
অবলীলায় একটার পর একটা প্রজন্মকে
পাহাড় বন জঙ্গল জনসংস্কৃতি সমেত
গিলে ফেলছে সভ্য শহর
পেট মোটা কোরে,তেড়ে আসছে
‘ অজগর!
~ ○ ~
পুনশ্চ,
এরকম সভ্য মানুষকে বিজ্ঞান, মঙ্গল কেন
কৃষ্ণগহ্বরে নিয়ে চলে যাক না ..
শুধু ধর্ষিত পৃথিবীর কচিকচি শিশুচোখ
ফুল ফল নদী নালা আধমরা গ্রামগুলো
কবিতার নদীগুলোর ব্যথা নিয়ে
হায় করে তুই আমি কিছুদিন বাঁচি |
আর,
নদী থেকে তুলে আনি মরা শামুকের খোল
তে-চোখা মাছগুলো খুঁজে দেখি
সভ্যতায় হারিয়ে গেলো কিনা ?