আমি বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে
নিজের মত নাচতে ভালবাসি।
আপন মনে গাই গান।
মোটে তো ক বছর এসেছি
এই পৃথিবীতে। এখনই এতো
তাড়া কেন তোমাদের ,আমাকে
সব বিষয়ে পারদর্শী করার।
যখন আমার মোটে দুই
পাঠিয়ে দিলে প্লে স্কুল না
খেলার স্কুল কোথায় যেন?
আমি তো বাড়িতে আপন মনে
নিজের মত করে খেলতে
চেয়ে ছিলাম;তাও পেলাম না।
এখন আবার কত কিছু শেখাচ্ছ,
কনভেন্ট না কোথায় একটা
ভর্তি করবে আমাকে,মাকে
মাম্মি বলতে আমার একটুও
ভাললাগে না যে।আমি যে
মা ডাকতেই ভালবাসি।
ঠাকুমার কোলে শুয়ে
রূপকথার গল্প শুনতে
খুব ভালো লাগে,কিন্তু
মা শুনতে দেয় না!
ওসব নাকি সেকেলে বড়ই।
ভোর বেলা যখন আমার
মিষ্টি হাওয়া খেতে ইচ্ছা করে,
আমায় বাঁধাধরা গতে ছোটাও,
সেটাও হয় নিয়ম মেনে।
রবিবার ছুটি,ভাবি আমার
নিজের মত করে কাটাবো
একটা দিন, ঠাকুমার কাছে
গল্প শুনবো,আর খেলবো,
কিন্তু রবিবার সকালবেলা
আবৃত্তি ক্লাশ,তারপর বিকালে
গান শেখা আর ড্রইং।
মনে হয়,তোমাদের
সবাইকে ছেড়ে পালিয়ে
যাই দূরে অনেক দূরে।
আমাকে আমার নিজের মত
করে কেন ছুটতে,খেলতে দাওনা?
আমি এখন ছোট্ট বড়ই
বুঝি না অনেক কিছু।
ঠাকুমা সেদিন বলছিলেন,
ওকে ‘তোতাাকাহিনী’র
তোতা বানিও না।
এর মানে কি মা?
তোতাপাখিটা নাকি
মরেগিয়েছিল!
তবে আমিও কি মা!!!!!!?
একটু ছুটি দাও না ,
আমাকে মাগো, নিজের মত
নাচি গাই আর খেলি।