এমনিতে আমার গোলু খুব ভালো ছানা।শুধু তার সৃজনশীলতা খুব মারাত্মক আকার ধারণ করে মাঝে মাঝে।তখন দুনিয়ার কোনো কাগজ নামক বস্তু তার কাঁচি নামক যন্ত্র থেকে রেহাই পায়না।ফেভিকল তো গরমকালের পানীয়জলের মত সে প্রায় শেষ করে ফেলে।ঘরের সমস্ত তথাকথিত আবর্জনা তার কাছে কোহিনূরের চাইতে দামী।যাক্,তার গুণাবলী এত বেশী যে লিখতে গেলে কলমের কালি শেষ হবে আর কী।তবে আজ তার সব মাফ্,কারণ ,আরে আজ যে শুভ জন্মাষ্টমী।।
কিন্তু কপালের ফের আমার,আজ মহা অঘটন ঘটে গেল।সকালে উঠেই সে কান্নাকাটি জুড়ে দিল,তার সাথে প্রবল দোষারোপ–আমি নয়তো তার বাবাই তার এক অদ্ভুত বানানো জিনিস নাকি ফেলে দিয়েছি।সেটা খুব দামীও ছিল।আর সে এটা বানাতে পারবে না।কারণ সেটি বানানোর উপাদান সমূহ সে খুব কষ্ট করে সংগ্রহ করেছিল।আমরা মাতা পিতা দুজন বারংবার বোঝানোর চেষ্টা করলাম আমরা এই অপরাধ টি করিনি।কিন্তু ঝড় থামল না।আমি নিজেকে শান্ত রাখলাম কারণ আজ যে শুভ জন্মাষ্টমী।।
সে আমাদের বিশদে বোঝাতে বসল কী কষ্ট করে দুটি রাবার ঘষে ঘষে রাবার গুঁড়ো তৈরী করেছে।তারপর হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশিতে হ্যান্ডওয়াশ ও সাদা পাউডার জল দ্বারা লিকুইড তৈরী করে তাতে রাবার গুঁড়ো মিশিয়ে ছিপি বন্ধ করে একটা এমন সুন্দর জিনিস তৈরী করেছে যা নাড়ালে ম্যাজিক ম্যাজিক জিনিস হয়। অগত্যা সেই বস্তু সবাই মিলে খোঁজা শুরু হল।রেজাল্ট খুব বাজে।কিছুই খুঁজে পেলাম না।গোলুর মন খুব খারাপ।আমাদেরও মন খুব খারাপ।কী আর করা যায়,জানি ওর ঐ কোহিনূরের ঢিপি তেই আছে ওর ঐ খাজানা।কিন্তু গোলুর পারমিশন ছাড়া তাতে হাত তো দেওয়া যায়না।অতএব দুখী দুখী ভাব দেখিয়েই নিজের ঘাড়ে সব দোষ নিয়ে নিলাম।কি আর করা যায় আজ যে শুভ জন্মাষ্টমী।।