কবি সাহিত্যিক দের সাক্ষাত্কারে একটি সাধারণ প্রশ্ন হল ‘আপনার লেখালেখিতে কিভাবে আসা সেটা কবে থেকে?’ তার জবাব গুলো কবি সাহিত্যের গন এত সুন্দর ও দক্ষ ভাবে রাখেন দেখেছি তাতে তাঁদের যোগ্যতা নিপুণ ভাবে প্রমাণিত হয় ।
আমি কবি সাহিত্যিক নই। কিন্তু কল্পনায় আসতে তো দোষ নেই তাই কল্পনার সাক্ষাত্কারে এই প্রশ্ন টি বড্ড জ্বালায় আমাকে বড়ই জটিল করে তোলে জবাব দিতে । কারন আমার লেখালেখির কোন গল্প নেই।কিভাবে কখন কার প্রেরণা? এসবের কোন নির্দিষ্ট সদুত্তর আমি দিতে পারব না । আমার লেখার কোন স্বীকৃতি পত্রও নেই।লেখার ভাণ্ডার নেই বললেই ভালো বলা হবে।
আর পাঁচ জনের মতো না আমার স্বরচিত কোন গল্প কবিতা প্রবন্ধ না থাকলেও একটা নিজস্ব লেখা চলত গোপনীয়তা র সঙ্গে যে টা আজ প্রথম story&article সাহিত্যে আমি ফাঁস করতে চলছি।
বহুদিন আগের কথা তাই লজ্জা বোধ হচ্ছে বলতে তবুও বলছি। আমার প্রথম নিজস্ব লেখা বলতে ছিল ‘প্রেমপত্র’।হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ভালো বাসার চিঠি।
বহুদিন আগের কথা তাই লজ্জা বোধ হচ্ছে বলতে তবুও বলছি। আমার প্রথম নিজস্ব লেখা বলতে ছিল ‘প্রেমপত্র’।হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন ভালো বাসার চিঠি।
তখন তো মোবাইল এর যুগ ছিল না তাই প্রেম অতটাও সহজ ছিল না আর সহজ ছিল না বলেই তার মাধুর্য বেশি ছিল বলে আমার অন্ততঃ ধারনা ।জানি আপনারা কি ভাবছেন এটাই তো যে আসল কথাটা কখন বলব।বলছি বলছি ঘটনাটা হল স্কুল জীবনের -স্কুলে পড়ি তখন অনেক বান্ধবী ছিল বন্ধু নয় কিন্তু ।বালিকা বিদ্যালয় কিনা?
নাইন টেনে উঠেই তাদের কেমন যেন বড়বড় ভাব আমি ছোটখাটো ছিলাম তাই পাত্তাই দিত না তারা।আবার আমার গায়ের রঙ এর সুবাদে কোন ছেলে আমাকে নজর করত না তেমন ।পড়াশুনা টা পারতাম মোটামুটি তাই প্রেমের আসরে দান না পেলেও বাকি সময় আমার কদর বেশ ভালোই ছিল।
এরই মধ্যে এক বান্ধবী নতুন প্রেমে পড়েছে। তার প্রথম চিঠি পড়ার সৌভাগ্য সেই আমাকে করে দিল কারন সে স্কুলে গেলেও পড়তে পারত না তেমন আর লেখা তো একদমই তার আসতো না।
এরই মধ্যে এক বান্ধবী নতুন প্রেমে পড়েছে। তার প্রথম চিঠি পড়ার সৌভাগ্য সেই আমাকে করে দিল কারন সে স্কুলে গেলেও পড়তে পারত না তেমন আর লেখা তো একদমই তার আসতো না।
শুরু হল প্রক্সি প্রেমপত্র লেখা আমার নিজস্ব লেখালেখির অঙ্কুর সেদিন থেকে বলতে পারেন। প্রতিদিন লিখতাম আর প্রতিদিন তার জবাব আসতো ।জবাবী পত্রখানিও বান্ধবী কে পাঠ করে শোনাতে হত।অদ্ভুত ঘটনা হল লেখার বিষয়ে শুধু সময়, কবে, কখন, কিভাবে দুজনের দেখা হবে এগুলো ছাড়া বাকি সব নিজের কল্পনা দিয়ে লিখতাম যেটা নাকি বান্ধবীর একেবারেই মনের কথা হত।আর তার প্রেমিক এর শেষ জবাব টার জন্য আমিও অপেক্ষা করে থাকতাম যেটিতে লেখা থাকতো ‘জানেমন তোমার চিঠি লেখার ক্ষমতা কিন্তু অসাধারণ ‘ এটা দেখলেই আমার যেন সব পড়া হয়ে গেল বাকি কি লিখেছে তাতে কোন আকর্ষণ থাকতো না।
(২)
আমার লেখালেখির দ্বিতীয় ধাপ ছিল পাশের বাড়ির কাকিমার হয়ে চিঠি লেখা
শুনলে আশ্চর্য হবেন চিঠি খানা ঠিকঠাক লিখতে সাংসারিক জটিলতার গল্প আমাকে শুনতে হত সেই বয়সে।শুনলেই কেল্লাফতে ।কি লিখব বলতে হত না তাঁকে। হয়ে যেত কাকিমার মনের মত চিঠি। কাকিমার পারিবারিক চিঠির জবাব আসতো তার খানিকটা এই রকম -“কি রে রুনু(কাকিমা) তুই তো লেখা পড়া করিস নি এখানে। কবে কবেই লেখা পড়া শিখলি জানতেই পারলাম না।যাই হোক খুব ভালো করেছিস বুদ্ধি তোর ভালো তা চিঠি লেখার ধরন দেখেই বোঝা যাই” এখানে আরো একটা পুরস্কার পেতাম কাকিমার কাছে ।নানা রকম পদ রান্না করে আমাকে খাওয়াতেন।আর সবার কাছে আমার ভীষণ প্রশংসা করতেন।
শুনলে আশ্চর্য হবেন চিঠি খানা ঠিকঠাক লিখতে সাংসারিক জটিলতার গল্প আমাকে শুনতে হত সেই বয়সে।শুনলেই কেল্লাফতে ।কি লিখব বলতে হত না তাঁকে। হয়ে যেত কাকিমার মনের মত চিঠি। কাকিমার পারিবারিক চিঠির জবাব আসতো তার খানিকটা এই রকম -“কি রে রুনু(কাকিমা) তুই তো লেখা পড়া করিস নি এখানে। কবে কবেই লেখা পড়া শিখলি জানতেই পারলাম না।যাই হোক খুব ভালো করেছিস বুদ্ধি তোর ভালো তা চিঠি লেখার ধরন দেখেই বোঝা যাই” এখানে আরো একটা পুরস্কার পেতাম কাকিমার কাছে ।নানা রকম পদ রান্না করে আমাকে খাওয়াতেন।আর সবার কাছে আমার ভীষণ প্রশংসা করতেন।
(3)
আমার লেখার তৃতীয় পর্ব টি হল আমার শ্বশুরবাড়ি-আমার জীবনের একটা আলোড়ন আনা ঝড়।না তেমন কোন ঘটনা নেই কিন্তু শুধু সব কিছু ই কেমন নতুন লাগত আমার, বাবার বাড়ির সেই আদুরে বাচ্চা মেয়ে টা র এক ঝটকায় বড় হয়ে যাওয়া।ছোট আর বলে না কেউ ওখানে ।কোন কিছু না জানাটা অস্বাভাবিক ব্যাপার আর জানাটা স্বাভাবিক, কোন বাহবা নেই।যেটা অসহ্য লাগত। তখন মনের কথা ডাইরি তে লিখেছি কখনো কখনো। যদিও নিয়মিত নয়। কবিতাও থাকতে পারে দুটো একটা।সেসব যদিও উইপোকার পেটে গচ্ছিত ।
(4)
আমার লেখালেখি বর্তমান পর্ব টি হল আমার কর্মজীবন।এখানে আমার কলিগ অদিতি বর্মণ একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলেন সেখানে আমার কবিতা কিছুটা প্রকাশ্যে আসে। সেখানে কয়েকজন আমাকে দারুণ ভাবে উৎসাহিত করেন।আমি লেখার একটা নিজস্ব জায়গা খুঁজছিলাম যেটা অনলাইন এ বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা গুলো আমাকে করে দিয়েছে ।এখন story&article সাহিত্য পত্রিকা তে আমি নিয়মিত লিখি।এটা আমার ভীষণ প্রিয় একটা পত্রিকা ।তা ছাড়াও অন্যান্য সাহিত্য পত্রিকাতেও একটু আধটু লিখে থাকি।