আমাদের-ই মাঝে //রণেশ রায়
আমার কবিতা কথা কয়
বলে যায়,
ইহ হয়ে আদি থেকে অন্তে
জীবনের এ যাত্রাপথে,
অবাক বিস্ময় !
রহস্য খুঁজি সে কোন অনন্তে !
খুঁজে ফিরি ভ্রূণে,
শৈশবের ডিঙা বেয়ে
কৈশোরের নব-বসন্তে,
আমার সে উদ্ধত যৌবনে,
প্রবেশ বার্ধক্যের অন্তে,
অতীত বর্তমান ভবিষ্যত
মেলে এক বিন্দুতে,
চেষ্টা জীবনের রহস্য ভেদে।
সৃষ্টির এই বিশালতা মাঝে
খুঁজি খুঁজি আর খুঁজি—–
কার্য-কারণ খুঁজে ফিরি
জীবনের উত্থানে পতনে ,
স্রষ্টারে পেতে চাই
সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনে।
জীবনের ক্ষেতে চাষ হয় শস্য
পরিচয় পাই অজানার,
খুলতে থাকে সৃষ্টির রহস্য,
সমুদ্র পারে কুড়ানো ঝিনুক
যেন মুক্তার সমাহার ;
খুঁজে পাই নক্ষত্রের মুখ
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ছড়িয়ে থাকা
জ্ঞানের ভাণ্ডার।
জানিয়ে যায়,
স্রষ্টা বেঁচে থাকে সৃষ্টির মাঝে
প্রবহমান জীবনের স্পন্দনে ;
প্রকৃতি-পুরুষের বিরোধ-ঐক্যের
ফসল এ জীবন,
জড় থেকে জীবনের উত্থানে
কোষ থেকে সৃষ্ট প্রাণে
তাকে দেখি বৈচিত্রের সাজে
জীবনের প্রবাহে
প্রকৃতির আবহে
জন্ম-মৃত্যুর রহস্যে
বিশ্ব জগতের মাঝে।
বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের চলমান সভায়
কেউ আসে কেউ যায়,
উন্মোচিত হয় কিছু,
অজানাকে জানা যায়,
তবু বেশিটাই ঢাকা থাকে
অ-জ্ঞানতার কুয়াশায়।
এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে সকলের মাঝে,
সে নয় অতি-প্রাকৃত কেউ,
সৃষ্টির মাঝারে
আমাদের-ই সাথে
স্রষ্টা বিরাজে নিত্য নতুন সাজে।