সুদীপ ঘোষাল
বুধো পত্নীপ্রেমে মশগুল। পাড়ার লোকে বলে,মাগিমুখো। কথাটা কানে এলেও গ্রাহ্য করে না বুধো। পত্নীপ্রেম থাকলে সংসার সুখের হয়। তার একটি দশ বছরের ছেলে আছে। পড়াশুনায় বেশ ভালো। কিন্তু মুশকিল হলো স্ত্রী রুমা বড় জাঁদরেল মহিলা। পান থেকে চূণ খসলেই যত রাগ গিয়ে পড়ে বুধোর ঘাড়ে।
একদিন সকালবেলায় বুধো রোদে পিঠ পেতে বেশ আয়েস করে বসে আছে উঠোনে। হঠাৎ স্ত্রীর নির্দেশ ভেসে এলো কানে। বসে বসে পিছন হনুর হাড়ের চেয়ে শক্ত হয়ে গেলো, যাও উঠোনের গাছগুলোর ডালপালাগুলো দা নিয়ে ঝুরে দাও। রোদ পড়ছে না ভালো উঠোনে। বুধো বললো, আহা গাছগুলোর ডালপালা গ্রীস্মকালে আড়াল দেয়, কেটে ফেলবো।
স্ত্রী বলে, যেটা বলবো শুনবে। তা না হলে কপালে কষ্ট আছে।
অগত্যা স্ত্রীকে খুশি করতে বুধো একটা দা নিয়ে কেটে ফেললো ডালপালা। স্ত্রী তার রান্নায় ব্যস্ত ছিলো। যখন সময় হলো তখন বুধোর স্ত্রী রেগে অগ্নিশর্মা। সে রাগে বুধোর চুলের মুঠি ধরে মারতে মারতে বললো, তোমাকে যদি এইরকমভাবে কাটা হয়, তাহলে কেমন লাগে? বুধো বুঝতে না পেরে বললো,তুমিই তো বললে। আমি তোমার আদেশ পালন করেছি মাত্র।
স্ত্রী ঝটাপটি করতে করতে পড়ে গেলো উঠোনে। সেখানে একটা ইঁট ছিলো। মাথা গেলো ফেটে। ছেলে কাঁদতে শুরু করলো রক্ত দেখে। এমন সময়ে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে দরজা ধাক্কা দিলো। সবাই দেখলো, বুধোর স্ত্রীর মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে। একজন প্রতিবেশী বুধোকে জব্দ করবার জন্য আড়ালে গিয়ে মহিলা সমিতিকে ফোন করলো।
তারপর মহিলা সমিতির মারফৎ পুলিশ এলো। বুধোকে ধরলো।
বুধোর স্ত্রীর মাথায় তিনটে সেলাই আর বুধোর এই শীতের সময় তিন মাস জেল।