মেলা হোল মিলন। আর উৎসবও এক মিলনক্ষেত্র। একলা চলায়, একলা থাকায় দুঃখ কম কি বেশি তা নিয়ে তর্ক হতে পারে কিন্তু আনন্দ হেথায় ভাঙাচোরা, রুক্ষ, শ্রান্ত বার্ধক্য যেন। একা যোগসাধনা চলতে পারে। কিন্তু সত্যকে জানতে, চিনতে, বুঝতে উৎসবের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা কেউ একা নয়, সূক্ষ্ম তারে বাঁধা। একের সাথে অন্যের যোগাযোগ অভিন্ন যেমন তেমনি পশুপাখি গাছপালা লতাগুল্ম নদনদী সাগর জঙ্গম পাহাড় পর্বত প্রভৃতি সকল কিছুই নিখিল বিশ্বচরাচরের মধ্যে সহাবস্থান করেই সম্পূর্ণ।
আনন্দানুষ্ঠান উৎসবের তেমনি এক খেয়ালী অঙ্গ। এখানে একে অপরের সাথে হৃদয়ের বোঝাপড়ায় সম্পূর্ণতা খোঁজে।
শ্মশান নীরব, নিবিড় প্রশান্তি যোগায় বটে কিন্তু মিলনক্ষেত্র বা উৎসব প্রাঙ্গণ হতে পারে না। তাই সে শূন্য— অসম্পূর্ণ।কাউকেই ওয়েল কাম করে না গুডবাই জানায়। স্বাগতম বলে না কেবলই বিদায়ের বিউগল শোনায়।
আর উৎসবে পাই বিলাসিতা মাখা প্রাচুর্যের লক্ষণ। তবু সত্যতার উপলব্ধি ভরা সম্পূর্ন তাই এখানে অক্ষয় কবচ কুন্ডলের মতো অনাবিল অসামান্য আনন্দ- স্রোত।