একটি অকবিতা এবং কিছু কথা
_______________________
বিচার
আমি সেদিন গরু চরাচ্ছিলুম মাঠে
কালু মিয়ার ব্যাটা ডাকল ইশারায়
গেলুম তার কাছে ।
— কী জন্যি ডাকছিস ?
— দরকার আছে, চল্ যাই আহিরের ক্ষেতে।
তা গেলুম।
আহিরের ক্ষেতে আমাকে শোয়ালো
কালুর ব্যাটা ।
একে একে খুলল সব আমার কাপড়।
আমি কিছুই বললুম না ওকে।
ভাবলুম, দেখি কী করে কালুর ব্যাটা ।
তারপর আমার সারা শরীলটো নিয়ে
খেলা করল ।
তারপর ওই জিনিসটা ঢুকাই দিলে
আমার শরীলে ।
তখন আমাকেও মজা লাগছিল খুব।
কিছুই বললুম না তাকে ।
আজ তিন মাস পর প্যাটটো বড়ো হল কত
দ্যাখ্ মুড়ল!
এখন তাহলে তুরাই বিচার কর ।
________________________________
এটা যদি কবিতা বলে লেখা হয়, অনেক পাঠকই বাহবা দেবেন। লাইক করবেন ।এক শ্রেণির কবি এই ধরনের কবিতা লিখেই মাত্ করে দিচ্ছেন। কিন্তু আমি এই ধরনের কবিতাকে কবিতা বলে একেবারেই মনে করি না। প্রকৃত কবিতার যে শব্দ, শূন্যতা, বোধ, আত্মরসায়ন সেসব কিছুই নেই এর মধ্যে।
সমাজের একটা লেখাপড়া না জানা, বোকাসোকা মেয়ের ঘটনা নিয়ে গল্প করা বা রসিকতা করা। কবিতার সেই সূক্ষ্ম ব্যাপ্তিময় অবরুদ্ধ অপ্রকাশ্য ভাবনার মধ্যে প্রবেশ করার আকুলতা নেই।
যে কবিতার প্রতিটি শব্দের সিঁড়িতে উঁকি দিয়ে সচকিত হয়ে চাবি খুঁজতে হয় অথবা শূন্যতার বিরাট স্পেস জুড়ে একাকী নির্বাক হতে হয়, এই কবিতায় সেই অবকাশ কোথায়? সেই কবিতাই একদিন লিখেছেন জীবনানন্দ দাশ, আজও অনেক কবিই লিখছেন। সেই কবিতারই পাঠক নেই। কবিদের সময়ের কাছেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।