ফুল হয়ে যাই
ঝরনা পাতায় রঙের বাড়ি,
দু একটা রঙ তাই কুড়ালাম ।
কেউ বা শালিক, কেউ বা ফিঙে
এই নিয়ে এক রূপকথা গ্রাম ।
পাহাড় ছুঁয়ে শীতল হাওয়ায়
কোলাজ আঁকে নীল দুটি চোখ ।
পাতায় পাতায় পথের মিছিল —
কেউ বা দোয়েল, কেউ বা চাতক ।
ঢেউ বয়ে যায় ঘাসের ডগায় —
নাম লেখে এক ফুল ঘোড়া তার ।
বাউরি বাতাস আপন মনে
সুর বুনে যায় চুমকি পাতার ।
মেঘনা মেঘের হাতছানিতে
অনুভূতির বীজ ওড়ে তাই
অলীক ভূবন কেবল ভাবে
মাঠ পেরিয়ে ফুল হয়ে যাই ।
ঝরনা পাতায় রঙের বাড়ি,
দু একটা রঙ তাই কুড়ালাম ।
কেউ বা শালিক, কেউ বা ফিঙে
এই নিয়ে এক রূপকথা গ্রাম ।
পাহাড় ছুঁয়ে শীতল হাওয়ায়
কোলাজ আঁকে নীল দুটি চোখ ।
পাতায় পাতায় পথের মিছিল —
কেউ বা দোয়েল, কেউ বা চাতক ।
ঢেউ বয়ে যায় ঘাসের ডগায় —
নাম লেখে এক ফুল ঘোড়া তার ।
বাউরি বাতাস আপন মনে
সুর বুনে যায় চুমকি পাতার ।
মেঘনা মেঘের হাতছানিতে
অনুভূতির বীজ ওড়ে তাই
অলীক ভূবন কেবল ভাবে
মাঠ পেরিয়ে ফুল হয়ে যাই ।
বাঁচা
সুলেখা তুই বন্ধু খুঁজিস ?
সুলেখা তুই ফুল ,
রাখবি কোথায় ? কবিতো সেই
লেখাতে মশগুল — !
ভাষা খুঁজছে পাগল কবি ,
আয় ও ভাষা আয় !
লবণ জলে ভাসছে দু – চোখ,
শব্দ শোনা যায় !
সুলেখা তুই বন্ধু খুঁজিস ?
সুলেখা দ্যাখ তুই ,
রুগ্ন কবি । শীর্ণ দ -ু হাত !
আকাশটা ছুঁই ছুঁই — !
কবিকে তুই সুস্থ করার
নিবিনা আজ ভার ?
তুইতো মায়া ,তোর দু – চোখেই
অরণ্য সম্ভার —
ছড়িয়ে আছে ইতস্তত !
অচেনা সব ঘাস ,
বলছে সবাই কবির সাথে
খেলবো বারোমাস !
উড়ে যাচ্ছে বলাকা দল ,
কবির মাথা ভার !
সুলেখা আজ কবিকে তোর
বাঁচানো দরকার !
সুলেখা তুই বন্ধু খুঁজিস ?
সুলেখা তুই ফুল ,
রাখবি কোথায় ? কবিতো সেই
লেখাতে মশগুল — !
ভাষা খুঁজছে পাগল কবি ,
আয় ও ভাষা আয় !
লবণ জলে ভাসছে দু – চোখ,
শব্দ শোনা যায় !
সুলেখা তুই বন্ধু খুঁজিস ?
সুলেখা দ্যাখ তুই ,
রুগ্ন কবি । শীর্ণ দ -ু হাত !
আকাশটা ছুঁই ছুঁই — !
কবিকে তুই সুস্থ করার
নিবিনা আজ ভার ?
তুইতো মায়া ,তোর দু – চোখেই
অরণ্য সম্ভার —
ছড়িয়ে আছে ইতস্তত !
অচেনা সব ঘাস ,
বলছে সবাই কবির সাথে
খেলবো বারোমাস !
উড়ে যাচ্ছে বলাকা দল ,
কবির মাথা ভার !
সুলেখা আজ কবিকে তোর
বাঁচানো দরকার !
এই পৃথিবীর স্বপ্ন জানে
ঘন সবুজ আলোয় মোড়া একটি তারার শুদ্ধ হাসি ,
চিনবো বলেই হরিণ হয়ে আলোক ধারার স্বর্গে আসি ।
চিনবো বলেই হরিণ হয়ে আলোক ধারার স্বর্গে আসি ।
তাই বাজে এই পাতার হৃদয়। অরূপ কথার গন্ধে মাখা ,
শিরায় শিরায় যায় বয়ে রঙ– নদীর মতো মগ্ন শাখা ।
শিরায় শিরায় যায় বয়ে রঙ– নদীর মতো মগ্ন শাখা ।
শাখায় শাখায় রূপ অপরূপ!দিন হলে শেষ ইচ্ছে পরী ,
শিউলি, টগর পড়তে থাকে তাই দেখে মেঘ অশ্বে চড়ি — !
শিউলি, টগর পড়তে থাকে তাই দেখে মেঘ অশ্বে চড়ি — !
ঘন সবুজ আলোয় মোড়া সেই তারাটির গুঞ্জ গানে —
আমার মনও চাঁদ হয়ে যায় এই পৃথিবীর স্বপ্ন জানে !
আমার মনও চাঁদ হয়ে যায় এই পৃথিবীর স্বপ্ন জানে !
ওড়ে কদম মাস
হাত তালি দেয় হালুম হুলুম রূপোলী এক বাঘ ।
এখনও সেই আবীর মনে কুসুম বেলার দাগ ।
এখনও সেই আবীর মনে কুসুম বেলার দাগ ।
টাপুর-টুপুর রূপকথা পুর । মেঘ বালিকার গান ।
আকাশ ভরা রামধনু দিন । মাঠ ভরা সব ধান ।
আকাশ ভরা রামধনু দিন । মাঠ ভরা সব ধান ।
রূপ ঝুমা ঝুম ঝুমঝুমি রোদ । পাখির মতো সুখ ।
গাছের নীচে কিশোরী আর একটি কিশোর মুখ ।
গাছের নীচে কিশোরী আর একটি কিশোর মুখ ।
বুকের ভিতর অনেক তারা । ঘাসের কুঁড়ি । ঘাস ।
ডানা নাড়ায় রূপকথা পুর — ওড়ে কদম মাস ।
ডানা নাড়ায় রূপকথা পুর — ওড়ে কদম মাস ।
***********************
বেঁচে থাকার আশায় কেবল উড়ি আর উড়ি !
আমি
আমি চিলেকোঠা ঘরে থাকি । আমি রূপকথা পাড়া আঁকি । আমি ঘাসফুল, আমি তারা । আমি চারাগাছ, আপনারা — আমি একরাশ ভালোবাসা। আমি আলাদীন প্রিয় ভাষা । আমি ভাষাপথ বুকে জুড়ি । আমি আঁকিবুকি ওড়া ঘুড়ি । আমি একরোখা জেদি ঘোড়া । আমি আলো আঁধারিতে মোড়া । আমি কাঁচপোকা, যঁুই নদী । আমি মাছরাঙা, কেউ যদি — আমি জলপরী নাচ শেখো। আমি ভাঙাতরী, ভালো থেকো। আমি চিঠি ঘর, চিঠি চিঠি — আমি প্রজাপতি, গিরগিটি । আমি হই হই —ছেলেবেলা । আমি লুকোচুরি,লুডো খেলা । আমি আয় আয় হাঁসবাড়ী । আমি এই ভাব, এই আড়ি । আমি ঘাসফুল, আমি তারা । আমি চারাগাছ, আপনরা — ।
কবিতা ঘুম
মালিপাখি
আমি দুললাম মেঘনা । পাতায় আমি ডুবলাম জলে ।
গান গেয়ে যায় কবিতা দেশ । গান গেয়ে পথ চলে ।
গান গেয়ে যায় কবিতা দেশ । গান গেয়ে পথ চলে ।
বাউল সাগর আগুন দিলেন । হেসে বললেন ওহে,
গুন টেনে যাও । গুন টেনে যাও । শুধু বাঁচবার মোহে,
ছবি আঁকলাম । উড়িয়ে দিলাম । উড়তে উড়তে তারা —
দুলিয়ে দিলো আমার বুকে আকাশমনির চারা — !
আকাশ আমার । আকাশ আমার । হাজার বছর শেষে ,
কেউকি নেশায় পড়বে ছবি ? কেউকি হাওয়ায় ভেসে —
বলবে আবার ও শিউলি দ্বীপ ! তোমায় খোঁজা বাকি !
ভাবতে ভাবতে পাথর পুরের পথিক হতে থাকি !
পাথরে রাত , পাথরে রাত , পাথরে রাত পড়ে —
কিশোরী তুই জাগাস আমায় হাজার বছর পরে — !
গান
মালিপাখি
উড়িয়ে দেবো ওড়নাকে আজ, কাল ওড়াবো কাকে ?
কাল ওড়াবো পাখির কোলাজ, ফুলকি বেড়ালটাকে !!
ভুল বলেছি,বেড়াল না মোম, দেখছি তাকেই তুলে !
বুক রেখেছি একটি নরম নাম জানি না ফুলে !!
নাম জানি না ফুল কী ও ঘুম ? খুলবো মনের ঝাঁপি ??
এমন সময় বুঝতে পেলুম ! লোকটা সদালাপি
বেশ আছি বেশ ঝুমঝুমি ভাই ! এইতো আমার বাড়ি !
খুশির দোলায় দুলছি সবাই ! দুলছে মেঘের সারি — !!
রূপকথা নদী
মালিপাখি
টুপ্টাপ্ করে নীলাকাশ থেকে নীরবতা যেন ঝরেছে !
এই চোখ থেকে রূপকথা নদী উপচিয়ে চাঁদে পড়েছে !!
গান মায়া আলো মোনালিসা হয়ে মথেদের ডানা মুড়েছে !
পাহাড়ের চূড়ো ছুঁয়ে ছুঁয়ে নেশা একরাশ খুশি জুড়েছে !!
জোনাকিরা যেন ভুল ভুলো পথে ফুলঝুরি আশা জ্বেলেছে !
পৃথিবীর বুকে প্রিয় ঘাস গুলো মননের ধারা ঢেলেছে !!
টুপ্টাপ্ করে নীলাকাশ থেকে নীরবতা যেন ঝরেছে !
এই চোখ থেকে রূপকথা নদী উপচিয়ে চাঁদে পড়েছে !!
একশো প্রদীপ জ্বালি
মালিপাখি
আমড়া পাতা, আমড়া পাতা, আমড়া পাতার ফালি !
আমরা দ্যাখো আকাশ জুড়ে একশো প্রদীপ জ্বালি !
প্রদীপ ! প্রদীপ ! ও দ্বীপ বলে নাড়ছে দু হাত কারা ?
মাছরাঙা নয়, নাচ জুড়েছে পাঁচটি নতুন তারা !
দিক হারিয়ে নাবিক গুলো অমোঘ আশায় ছোটে — !
বুকের দাওয়ায় বুলবুলি দেশ, শিউলি, টগর ফোটে !
গুন গুনিয়েই দেবদারু গাছ, বলছে আমায় পাখি !
তোমার হাতেই পরিয়ে দেবো শাপলা গানের রাখী !
আমড়া পাতা আমড়া পাতা আমড়া পাতার ফালি
আমরা দ্যাখো আকাশ জুড়ে একশো প্রদীপ জ্বালি