২১
অস্ত্র বড় ভয়ানক
সে সেকেলে হোক বা আধুনিক
হায় বাল্মীকি!
কি চরিত্র সব
যুগে যুগে লাফালাফি খেলে!
পক্ষপাতে হতে পারে
দাড়িটা তোমার আরো আরো সাদা
বেলকুঁড়ির মত দেহের সুবাস
কপালে রক্তচন্দন ফোঁটা
অক্লান্ত ধূপ ও ধুনো।
আর ভাই আমরা? আমরা তো
তোমার কলমের ডগা থেকে ছিটকে বেরোই
তোমাকে কুর্ণিস করি, আর তুমি
গল্প উপগল্পের চরিত্র করো নিতান্তই হেলায়।
আধুনিক বাধা একটা পড়ে
কি বলব, এরা না মাইকেল হতে চায়
এত সোজা?
আর হলেই বা কি না হলেই বা কি
কাল থেকে কালে তোমার যে অবাধ ঘোরাফেরা!
২৩
ভালই দাঁড়িয়ে গেছে, কি বলেন?
ধরুন আপনি বৌমা দেখতে গেছেন
আপনি কি দেখবেন? না মুখ দেখবেন।
ভূত্বকে এক ঝটকায় চেনার উপায় মুখটাই
দেখুন গোটা ভূত্বক আমাদের
ভালবেসে,ডোল ছড়িয়ে ভুলিয়েছি
২৪
মেঘ ডাকছে হুড়ুম দুড়ুড়
বিদ্যুৎ চমকাচ্ছেও জোর
এই নামল বলে প্রথম কালবৈশাখী
কিন্তু বউটা এখনও ফেরেনি
মেয়েও নাইট ডিউটিতে বেরবে
পরপর চারদিন নাইট!
প্রথম জীবনটা আমারও এমন ছিল।
মাস শেষ
ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকার খবরটা প্রথম বাবাকে কন্যার আমার সে কি খুশি!
চাঁদের হাসি হার মেনে যায়!!
২৫
আমি তো দিয়েছি তোকে
দরাজ সার্টিফিকেট
চুপচাপ বসে কেন তুই, চোখ চা
এই নে তারচেয়ে এক কাপ ব্লক খা।
২৬
ছেলেটি বানভাসি
কথাও বোঝেনা কিছু
কথাও বিশেষ বলেনা।
ছেলেটির চোখে আতঙ্ক
মুখে মায়া
ছেলেটি থেকে গেল।
যা বলে কর্তা গিন্নি
রা কাড়া নেই
সঙ্গে সঙ্গে তামিল।
বাইরের কাজ হয়ে গেল
ঘরের কাজে সামিল
কাজ না থাকলে চুপচাপ।
বয়স বাড়ল শুধু
ছেলে থেকে হল লোক
কাজ শুধু করে কাজ।
কিছুই পড়েনি মনে
বিয়ে থাও করল না
“হ্যাঁ আর না” বলা লোকটি।
২৭
চুপ
একদম চুপ
কালবৈশাখী পরীক্ষা দিচ্ছে।
সারাটা বছর
কত ঝামেলা যে আসে
ক্ষেপে ক্ষেপে তৈরি হয়েছে ও।
আর রোদ ফুরফুর বসন্ত পুত্র
কম কি জ্বালিয়েছে!
এখন আবার মিঁউ মিঁউ ধ্বনি।
ক্ষমতার কাছে মাথা হেঁট
আহা প্রেম অভিনয়ী পুরুষ
এক এক করে হিসাব মেটাবে
এবার কালবৈশাখী।
২৮
ঝকঝকে একটা আকাশ
একটু ঠান্ডা ঠান্ডাই
মাজাঘষা চাঁদটা আকাশে
সকাল হব হব করছে।
গতকাল গ্রামে গ্রামে
কালবৈশাখী খেলল
আম পড়েছিল উঠোনে অঝোরে
শিরিষের ফুল উড়ে এসেছিল ঘর দাওয়ায়।
আজ তাহলে আমডাল নাচছে
একটু নিম বেগুন
চারাপোনা ঝোল
মাধ্যমিকে এবারও কি সহানুভূতি গার্ড?
২৯
মনের ভিতরে থেকে থেকে মনস্তাপ হামা টানে
শিরীষ সেজেছে আহা মরি ফুলে পাতায় আলো ছায়া
পুকুর শুকোল কুকুরেরা হাঁপাচ্ছে না!!
রাস্তায় আয় সাদা থান বাড়িতে যাবে, বউ তোর!!
রাখা ছিল সব সে আমলে এ আমলেও মাটি চাপা
উর্দি পকেটে রাতে দিনে আমরা বলি শেষকথা
বেশি জানা লোক লাফ কাটে আদরে ঢোকে গোয়ালে
হেসে হেসে বশ্যতাটা চেটে খায়!!
৩০
এমনকি কাল দুপুরেও
ঠিক মুখে কিছু দেবার অল্প আয়ু ফাঁকটায়
শিরীষের মরা পাতার মতই
মৃত্যু ছুঁড়ে দিলে তুমি।
এমনটাই হামেশা তুমি করে থাক।
কোন গরমাগরম প্যাকেট আসেনি কালও
আমি ঠান্ডা খেতে খেতে নিজেই এক খন্ড বরফ
ছোটবেলার তুষের উনুন ধার আজ আর নেই
কি করব কি করব ভাবতে ভাবতেই
ছিটকে গিয়েছি ভূত্বকের বাইরে
মিথ্যা কুমার কুমারী নেই
দূষিত গঙ্গার জলে পুজোও নেই।
তোমার ছোঁড়া মৃত্যু আমাকে তাড়া করছে
তুমি ঠিকই বলেছ
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই বলেছ
আমার মুখ এখন বাঁদর বাঁদর
তাই মৃত্যু ছুঁড়ে আর পেছন ফের না
শুধু মাকে বাঘ চিৎকারে ডাক।
তোমার ডাকটা আর কোথায় কোথায় গেল জান না তুমি
তোমার জানার ইচ্ছেও নেই
তুমি তোমার তৈরি মৃত্যু দিয়েই খুশি
যাবজ্জীবন ভাইরাও উল্লসিত হল
আর আমার ঘাড়ের ওপর
শিরদাঁড়ার ওপর মৃত্যু লাফায় ঝাঁপায়।
আমার তো চিৎকার নেই
আমার আর ঘামও নেই
প্রত্যেকটা আঙুল নীলে নীল
কোন কিছুই আর আমাকে ছুঁতে পারছে না
আমি যে আর ভূত্বকবাসী নই!!
৩১
তুমি ঠিকই ধরেছিলে
একা থাকলে অসভ্য।
ঠিক ঠিকই, আলো পাখি
এবার নামো, রোদ দাও।
রোদই দিও, ঘুম নয়
বিছানা নেই,ঘুমাব না।
এত রক্ত, চোখ জল
কাশ্মীরেতে, বাংলায়!!
এত জলসা, কীর্তন
কত ধ্বনি, ভালবাসো!!
কত হাজারী সভ্যতা
মানুষ কর, কর নি তো!!
তুমি ঠিকই ধরেছিলে
ওরাই শুধু পারল না!!
৩২
অনেকটা পথ হাঁটার পর মনে হচ্ছে কিছুই হাঁটিনি,সবটাই ছিল প্যাঁচানো আলপথ,ঘাসের ঢিপি থেকে কেউটের ছোবল,অভ্যস্ত হতে হতে বিষেই আজ বিপন্ন উল্লাস।
হায়,গন্ধহীন শালুকের মালা!তোকেও রোজ রাখি পাশে,একটা গানের সুর ভাঁজে মন,ভূত্বকে একাল সেকালে পথ খোঁজে নিঃস্তব্ধের কারিগর।
গরু চরানো পাঁচনটা হারিয়েছে বহুদিন হল,পেটো জোঁক মারার নুন থলেটাও,অংশ বংশ ধ্বংস হই,দিনের পরে দিন বিলাপে প্রলাপে কাটে,বিষ রক্ত টান তবু কি কমে!
কতটা আলপথ হাঁটলে রাজপথে যাব?কতটা ছোবল খেলে সন্তান থাকে দুধে ভাতে?কতটা রহস্য খেলে বুলেট হয়ে যায় বুনো হাঁস পালক!এ হাড় তো দধীচির উত্তরাধিকার।
৩৩
হে ধ্যান এসো
আমাকে গিলে খাও
পাঁচদিকের চিৎকারের পাতাল প্রবেশ ঘটুক
আমাকে অন্ধকারে আড়াল দাও
সব গিঁট ছিঁড়ে দাও
পাঁক থেকে উঠে আসা শয়তান ঘুমাক।
আমি তো ঘুমাতে চাই না
ঘুমালেই ঘুমুর ডাকে আয়
ময়ূর সাজারাও
টানা হেঁচড়া আবার
চোখ খুবলে হাতে নিই
চামড়ায় পেরেক ফোটাই।
কথারা পেটের ভেতর সেদ্ধ হয়
হ্যাঁ হ্যাঁ বলে ফেল
দু’চারটে সামাজিক বৃক্ষরোপণ
দু’কলি বিশুদ্ধ গান
প্রগাঢ় প্রসাধন
কাল যেন কোন দেশে যাবে?
আমি তো প্রভু
আমার পাপ ও পিছড়ে পড়া
কোন কোর্টে হবে ফয়সালা?
হুল্লোড়ে মেতে স্মৃতি কথা লিখি
তোরা খাবি গোরু মতো
আমার বিলাস আরাম!
ভুঁই ফোঁড় আমি ও আমরা
চোদ্দ পুরুষে কেউকেটা কেউ নেই
কত সহজে ছাপ মার শরীরে ও মনে
বাইরে গ্যাস ঝাড়ো কত
তাই ধ্যানকে ডাকি এসো এসো
দু’মুঠো আড়াল দাও অন্ধকারের।
৩৪
চুপচাপ হয়ে যাও
আর হাসি ছড়িয়ে যাও
একটা রাস্তা তৈরি হোক
আর শুকনো পাতাগুলোয় প্রজাপতি বসুক।
দিন আসছে দিন আসছে
মিথ্যে জলাশয়গুলো একে একে হচ্ছে কংকাল
জলজ জীবনগুলোর চিল চিৎকার
আসলেরা কোল পেতে দেয়।
চুপচাপ দেখ আর চুপচাপ হয়ে যাও
তুমি তো চন্ডাশোক নও
নও তুমি আকবর বাদশাহ
হাজারটা আপোষে পচেছিস তুই।
এত গুমোর কিসে তোর!
এতটা শীত গেল
কাকে তুই কি দিয়েছিস বল!
সন্তানও দেখে সরল সন্দেহে।
৩৫
মৃত্যু আমার গলার মালা
সেই কোন ছোট সে বেলা থেকে
সেই থেকে ডাকি ও বনবালা
সেও মাঝে মাঝে যাচ্ছে ডেকে।
হাসাহাসি করি মাঝে মধ্যে
এতে রাগে মরে বিস্তর সে
ভালবাসে কিনা গুহা মধ্যে
ব্যবধান খায় ত্রিস্তর সে।
অভ্যেস বশে আঁকড়ে ধরে
আবেশে শরীর আ মরি মরি
খামচে খামচে হাঁকড়ে মরে
যত বলি ছাড় আমি তো তোরই।
হিংসুটে তুই মুখ ফসকে
যদি বলি তাকে ও বনবালা
মুখ ভার তোর গেল টসকে
সব হা হা হি হি ছিঁড়ল মালা।
৩৬
চামড়া ছাড়িয়ে দেখ
সব প্রাণি
গুল পেরেকও ফোটাতে পার
হাত পা তো আখছারই কাট।
পা কমলেই শয়তানী বাড়ে
হিংসা খেলে সব জন্মে
সভ্যতার তো শুধু অত্যাচার
ছাপ মারে ছাপ মারে।
এত কিছু আবিষ্কার
আমরা করেছি
এবার শান্তি যন্ত্র
বসিয়ে দেব প্রতিটা প্রাণে।
বুদ্ধ যিশু হজরত প্রমুখ সেরা মনোবিদ
হার খেয়েছে দু’ঠ্যাঙের কাছে
তাই এবার এ আবিষ্কার
হুররে রক্ত আর ঝরবে না ভূত্বকে!
৩৭
বোধহয় ফাল্গুনের কোন একদিন তোমাকে প্রথম দেখি।
তোমার কঠিন সৌন্দর্য,বাঁশপাতা চোখে ঘুর্ণি বাক্য ভাল মাখিয়েছিল আমাকে।
একে একে মুগ্ধ হল গাণিতিক আঁকাবাঁকা গলি তিরতিরে শিউরে ওঠায়।
ইতিহাস উঁকি মারে, বেড়েই চলে বুকের ছাতি, বৃষ্টিরা উজবুক, যখন তখন এ বুকে নামে।
প্রতিপক্ষরা ময়দানে নামে, তুমি সরাসরি বোল্ড, তোমার দুঃখবোধ আমাকে আজও অন্ধকারে টানে।
প্রকৃত বাস্তবে বেড়ে যাওয়া ছাতি কমতে কমতে হাওয়ায় মেশে, পেঁচা রাতে শুরু হয় একা একা পথ চলা।
তোমার শরীর, তোমার মন থেকে উথলে আসা ক্ল্যাসিক্যাল ঝিনুকগুলো আমার গরম চোখ জল আজও মুছিয়ে দেয়।
৩৮
হাওয়ায় উড়ছে অভিযোগমালা
আমি তো এখনই অজ্ঞাত রাশি
পিঠ পাতাই আছে চাপছে সূচক
এক দুই পনের হা হা হি হি হা হা।
অজ্ঞাত রাশিটা চলছে ফিরছে
অভিযোগের থেকে জন্ম নিচ্ছে
পনের কুড়ি ষাট বিষাদ গানেরা
চোখ জল খাচ্ছে ডিপ্রেসানটা।
পঁচিশটা বছর! কম কি সময়?
অসামাজিকতাকে ডেকেছি সাদরে?
একশ এক চড় দু’গাল ফোলাল
মনটান তো তুই? এবার এখন?
প্রজাপতিরা খায় উড়ে চলে যায়
ফুলেতে বাস কার? কীট কীট কীট
লক্ষ কোটি কোটি সুগন্ধ মরে
অজ্ঞাত রাশিও হাওয়ায় ওড়ে।
উড়ছে তো উড়ছে ভাসতে ভাসতে
রক্ত বমি বমি তীরের খোঁচায়
দ্বীপগুলো ডুবছে লক্ষ লক্ষ
মনটান তো তুই দ্যাখ চেয়ে দ্যাখ।
পঁচিশটা বছর! কম কি সময়?
চিল আর শকুনে খেয়ে নিল সব
সব পজিটিভিটি? চোখ জল দিলি
কাঁটা বেড়া ছিঁড়ি তো, এই কি কপাল!
কতটা হেঁটেছি না! না না ও কিছু না
মনটান কাঁদছে, ও হাঁটা হাঁটা না
শুধু শুধু কাঁদবে? এ হাঁটা হাঁটা না
সময়ের কান্না বিষাদ সাগর!
অহং খাও বাঘ এসো এসো এসো
রক্ত খাও ভাম এসো এসো এসো
মাংস খাও মাছ এসো এসো এসো
হাড় খাও পিশাচ এসো এসো এসো।
অজ্ঞাত রাশিটা অসংজ্ঞায়িত
মহাশূন্যে খাক সেই ভাল ভাল
রহস্যের সুতো ঘিরে থাক তাকে
দশরথী আবেগ কোটি কোটি কোটি।
নাচুক মন্থরা নাচুক কৈকেয়ী
তোলপাড় হোক পাড়া উইঢিপি আয়
প্রবেশ করবো তো অজ্ঞাত রাশি
পঁচিশটা বছর আরও চলে যাক।
মৃত্যু চায় কত বিরোধীপক্ষ
পাপ লেপন করে অযুত নিযুত
ভালবাসা জ্বলছে দাউ দাউ দাউ
প্রাণ কাঁদছে প্রাণ প্রাণ প্রাণ প্রাণি।
একটুও বসে না ফাল্গুনী হাত
কালবৈশাখীর দাপাদাপি শুধু
ধাক্কায় ধরেছে হাড়েতে ফাটল
বঙ্গোপসাগরে নিয়ে চল চল।
এ বাড়ি ঘরদোর শূন্য শূন্য
শেয়াল তাকায় না শূন্য শূন্য
ভাগাড় এ ভাগাড় শূন্য শূন্য
চোদ্দটা পুরুষ শূন্য শূন্য।
যাই মিলিয়ে যাই হাওয়া হাওয়া
কোনকালে ছিলাম? হাওয়া হাওয়া
পথ শূন্য হল হাওয়া হাওয়া
চুপচাপ ডায়াস হাওয়া হাওয়া।
পালা করে কাঁদছে পাথর পাথর
সব আশা মরুক পাথর পাথর
জলাঞ্জলি যাক পাথর পাথর
পালা তো শেষ বল পাথর পাথর।
বস্তুতে ঘষা না! আগুন আগুন
জিব চেরা বাক্য আগুন আগুন
রাক্ষস রক্ত আগুন আগুন
হৃদয় পেতেছি তো আগুন আগুন।
অজ্ঞাত রাশিটা বস্তু হবি তো?
অণু পরমাণু হবি? ধ্বংস শক্তি?
বিয়োজনে ধাক্কা সংযোজনেও?
বস্তু থেকে উঠলি বস্তুতে মেশ।
হাওয়ায় উড়ুক প্রকৃত ভস্ম
জন্ম হোক প্রাণ ফুলে মধু আয়
আসুক যে যে পারো এসো এসো এসো
শুঁয়োপোকা লাফাক গান গাক জোরে।
আমি কি ওরা নয়? তাই তাই তালি
বুড়ো বট হাঁপায় তাই তাই তালি
নদী শুকিয়ে গেল তাই তাই তালি
মেঘেরা ফিরে আসে তাই তাই তালি।
ভালবাসা কেঁদেছে যত পাগলামি
রাতেরা দিন হল যত পাগলামি
মদেরা মদ হলে যত পাগলামি
কার জন্ম কার? যত পাগলামি।
হাজারটা বছর ঘুমাক বস্তু
হাজারটা বছর জাগুক বস্তু
আগুন লাগ লাগ পুড়ুক বস্তু
হরপ্পার মতো শুষুক বস্তু।
আগামী সভ্যতা কান্না মুক্ত
আগামী প্রাণে প্রাণে কান্না মুক্ত
আগামী বস্তুরা কান্না মুক্ত
আগামী আবেগেরা কান্না মুক্ত।
হে অজ্ঞাত রাশি এবার এখন
মহাশূন্য থেকে লাফ কাট লাফ
বস্তু আধারেতে চোখ খোল চোখ
হাসুক মনটান গভীর শ্বাসেতে।
একটা চুল ছিঁড়ি আকাশে ওড়াই
একটা লোম ছিঁড়ি আকাশে ওড়াই
একটু জল শুষি আকাশে ওড়াই
একটু মেঘ ধরি আকাশে ওড়াই।
বস্তু বস্তুতে পাক খায় পাক
অজ্ঞাত রাশিটা পাক খায় পাক
ভালবাসা সকল পাক খায় পাক
জন্ম মৃত্যুরা পাক খায় পাক।
শূন্য শূন্যতে মেশামেশি করে
মহাশূন্য ঐ মহাশূন্যতে
পাশাপাশি হাঁটছে শুধু শুধু শুধু
অজ্ঞাত রাশিটা মনটান ধরে।
৩৯
এত চোখ জল
এত আষ্টেপৃষ্ঠে কান্না
এত আহত
রক্তাক্ত এত
এত অবসাদ?
আমি তো নুইবই
একাকিত্বগুলো তোর চেবাবই
শেষটা কাটুক তোর তালে তালে
তুইই বল
কি কি সাবধান খাব!
মনে আছে তোর?
ঠিক কতবার তোরই জন্যে
শুধু তোরই জন্যে
নিজেকে রেখেছি বাজি!
সাতখুন মাপ করে জীবন এসেছে স্বেচ্ছায়।
আয় তোকে আবার তৈরি করি
আত্মঘাতী খেলারা চুলোয় যাক
বুক বাজিয়ে বলি
এ ফুল আমার
আমার এ নদী, পাহাড়, সাগরও।
পাখি কাঁদে, গাছও
আকাশ আর মেঘ তড়াক তড়াক লাফায়
এত যে ভয়ের কালবৈশাখী, সেও
তোর সঙ্গে মাথা গলাল
নে চোখ মোছ, উঠে পড় দেখি!
আমার আয়ুতে সাজিয়েছি তোর পরমায়ু
তোর অবসাদ আমারই খাদ্য উপাদেয়
তোর ভ্রু ভঙ্গীর কথামালা
সুরে সুরে বাতাস নাচানো
সবেতেই আমার অংশ গাঁথা থরে থরে।
তোর নিঃশ্বাস এ বুকে বাজে
ঘুমে আর অঘুমে পাশাপাশি আজও
শুকনো মাটিতে পড়ল সেই তোর চোখ জল
এরপর?
এরপর সূচাগ্র মেদিনীর লড়াই, লড়াই।
৪০
জনগণ কি কবির কাব্য পড়ে?
যখন পেটে হাতির লাথি চড়ে
দৈত্য দানো মারতে আসে থাবা
তখন কবি পথ দেখাও না বাবা!
ঝকমকিয়ে তরবারে
চড়াম চড়াম চড়মারে
গলা টেপে সত্যি স্বরে
ডোল নাচাবে একটু পরে!
গান বাঁধাল সুবীর সুজন
আসছে আরো লাখো দু’জন
সুড়সুড়িটা রাখছে ভাল
জাত বেজাতের বিষ ছড়াল।
আবার হলে পথ ভিখারি
কবির লেখা খুব দরকারি
তুমিই তখন রাস্তা তো
পদ্য তোমার নাস্তা তো!