আজও ধ্বনিত হয়
আজও একাকীত্ব হৃদয়ে ধ্বনিত হয় সেই শব্দটি
আজও মনের কোণে ঝাপসা চোখে
খুঁজে বেড়ায় তাকে
এক চিলটে ক্ষীণ আশায় বুক বেঁধে
প্রকাশ করি নিজেকে।
হাজার স্বপ্ন ভেঙে হয় চুরমার
ছলছল নয়ন আঙিনাতে ;
সেদিনের সেই সুমিষ্ট কন্ঠ
আজও ধ্বনিত হয়,
মনের রন্ধ্রে
আকাশে-বাতাসে।
কেবলই ধ্বনি ঝংকৃত হয়ে নাড়া দেয়
প্রেমিকের মানদন্ড যায় ভেঙে।
এক কঠিন মুহূর্ত মূক করে রাখে
ভাবলেশ দৃষ্টি কেবলই খুঁজতে চাই
আশ্রয়।
ভ্যাবাচ্যাকা মনটা চাপা কান্নায় ডুকরে ওঠে,
স্বপ্নের প্রিয়তমা নামে মর্ত্যে।
স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যায় !
‘Always Welcome’ফিরে আসে না,
‘বন্ধু’-র মর্যাদা রাখার দাবিটাও-
হয়তো নিছকই মিথ্যে।
.# প্রত্যাশী #
মনের কোণে ঠাঁই করে নিতে পারেনি
সে ।




আজও একাকীত্ব হৃদয়ে ধ্বনিত হয় সেই শব্দটি
আজও মনের কোণে ঝাপসা চোখে
খুঁজে বেড়ায় তাকে
এক চিলটে ক্ষীণ আশায় বুক বেঁধে
প্রকাশ করি নিজেকে।
হাজার স্বপ্ন ভেঙে হয় চুরমার
ছলছল নয়ন আঙিনাতে ;
সেদিনের সেই সুমিষ্ট কন্ঠ
আজও ধ্বনিত হয়,
মনের রন্ধ্রে
আকাশে-বাতাসে।
কেবলই ধ্বনি ঝংকৃত হয়ে নাড়া দেয়
প্রেমিকের মানদন্ড যায় ভেঙে।
এক কঠিন মুহূর্ত মূক করে রাখে
ভাবলেশ দৃষ্টি কেবলই খুঁজতে চাই
আশ্রয়।
ভ্যাবাচ্যাকা মনটা চাপা কান্নায় ডুকরে ওঠে,
স্বপ্নের প্রিয়তমা নামে মর্ত্যে।
স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যায় !
‘Always Welcome’ফিরে আসে না,
‘বন্ধু’-র মর্যাদা রাখার দাবিটাও-
হয়তো নিছকই মিথ্যে।
.# প্রত্যাশী #
মনের কোণে ঠাঁই করে নিতে পারেনি
সে ।
অনবরত চাপা দীর্ঘশ্বাস,-
তীব্র প্রখর নিশ্বাস ও গভীর আর্তনাদ
বিষিয়ে দিয়েছে তাকে ।
এক নিমেষে ঠেলে দিয়েছে
কালো অন্ধকারে ।
মনের বাসনা ছুটেছে ,
শীতের রাত্রির-
নরম পোশাকে ।
মাথায় রাখা সুসজ্জিত ভবিষ্যত
ঘুমোতে দেয়নি……..
অন্ধকারে কালো হাতছানি এড়াতে
কেবল এক চিলটে আলোর
প্রত্যাশায় ।
. কলমের আঁচড়ে
# নির্জন রাস্তায় #
নির্জন রাস্তায় তোমাকে দেখেছিনু
কতবার করে-কতবার ভেবে
তোমার মনে ঠাঁই পেতে –,
(আমি) বিলিয়ে দিয়েছিনু আমার হৃদয় ।
বিসর্জনের ঘাতে-ঘাতে আর
আঘাতের চরম ক্ষতে আজ,
তুমি ঠেলে দিলে আমায়
মৃত্যুর কোলে ।
তোমার লাঞ্ছনা বুকে নিয়ে
আজও আমি ,-জাগ্ৰত ।
তোমার হৃদয় আমার রিক্ত অন্তরকে
আজ ,কেবলই প্রেরণা দেয় ।
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে
বেদনা জর্জরিত বুকে হাত চেপে
যখন সামনের দিকে চাই,
(তখন) শুধুই লাঞ্ছনা আর অবমাননা।
এক গভীর আশা—
নিশ্চিত হয়ে যখন মনকে
কেবলই বাহবা দেয় তখন আমার হৃদয়,
এক অগমতীরে মিথ্যা ভালোবাসার ফাঁদে।
টলতে-টলতে এগিয়ে গিয়ে
যা রচনা করি তা-
মেকি আর মিথ্যে।
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে
বিদ্যুৎ রেখা খেলে যায়
মনের সীমান্তে।
ভাবনা পিছু হটতে চাই
মন বিষন্মে ভরে ওঠে
আকাশের বুক বেয়ে নেমে আসে
অন্ধকার।
কবিতার পাতায়
KIশLয় MIত্র
কবিতার পাতায় দিয়েছি তারে
বিলায়ে
যা কিছু ছিল মনের কোণে
জমাট বেঁধে কংক্রিট।
দু’চোখের নোনা স্নিগ্ধতায়
ফ্যালফ্যাল আঁখি মেলে
এখনও; হাজার স্বপ্নের রংমশাল।
বিলায়ে
যা কিছু ছিল মনের কোণে
জমাট বেঁধে কংক্রিট।
দু’চোখের নোনা স্নিগ্ধতায়
ফ্যালফ্যাল আঁখি মেলে
এখনও; হাজার স্বপ্নের রংমশাল।
রাতের তারার সাথে
একাকী গহন অরণ্যে যে ভালোবাসা জমে,
তেমনই ঘটেছিল ব্যাপারটা;
শত-শত প্রশ্নের মুখে নিরুপায় মন
কেবলই; খুঁজছিল হাঁফ ছেড়ে বাঁচবার পথ।
একাকী গহন অরণ্যে যে ভালোবাসা জমে,
তেমনই ঘটেছিল ব্যাপারটা;
শত-শত প্রশ্নের মুখে নিরুপায় মন
কেবলই; খুঁজছিল হাঁফ ছেড়ে বাঁচবার পথ।
তবুও;
তবুও রাতের অন্ধকারে রামধনু ওঠে
মন মিছিমিছি সাড়া দেয়
শত বাঁধা পেরোবার স্বপ্নে সে আজও
হাপুস নয়নে কাঁদে ।
তবুও রাতের অন্ধকারে রামধনু ওঠে
মন মিছিমিছি সাড়া দেয়
শত বাঁধা পেরোবার স্বপ্নে সে আজও
হাপুস নয়নে কাঁদে ।
রাত বারোটা,………
বেজে ওঠে কলিং বেল
সামান্য দু-চার কথা-
তারপর ,সব চুপচাপ।
পা-র তলা থেকে—–
মাটি সরে ফাঁপরা
আঘাত নেমে আসে বুকে;
নিরালা বাতাসে বয়ে বেড়ায়
মৃত্যুর আনাগোনা।
আজ হতে বছর কয়েক পরে
মিলতে হবে তার সাথে;
সে কী সহজ ভাবে নেবে
ব্যাপারটা,
নাকি অভিমানে থাকবে চুপ করে।
বেঁচে থাকার বৃথা আশ্বাসে
জীবনের সব নেশা কেটে গেলেও
থাকে কী কোনো তৃষা,
জীবনের সব রং মুছে গেলে —–?
নানা স্বপ্নের জাল বুনে
হাজার আশায় বেঁচে থাকার
বৃথা আশ্বাসে ;
একান্ত গভীরে সৃষ্ট প্রলয়
সে-ও করে আয়োজন,
ধ্বংসের পথ ।
পাথরের বুকে ফুটিয়ে তুলতে ফুল,
যে গাছ করেছিল শপথ
সেও একদিন,
হয়েছে পরাজিত
পাষাণের গহ্বরে বেদনা নিয়ে ।
স্বপ্নভগ্ন
যে জীবনে সুখ ছিল,
সাধ ছিল,
স্বপ্ন ছিল,
ভালোবাসার মতো প্রেম ছিল–
সমস্ত প্রচেষ্টাও হয়তো ছিল,
সেই জীবনে——-।
তবুও;
তবুও এক গ্লানিকর কটাক্ষে
নিভে গিয়েছিল দীপ;
শুকনো চোখে পোকা ঢোকার মতো
মনে হয়েছিল
ঢেঁকির পাড় পড়েছিল বুকে ।
বলার মতো বহু কথা
ভেবে-ভেবে
নেমে এসেছিল,
নেমে এসেছিল আঘাত ।
এক মুহূর্তে শূন্য মনে হয়েছিল
গোটা পৃথিবী।
চাতকের মতো কেঁদেছিল মনটা ।
অনন্ত তিমিরে বসে বুঝেছিনু,
তিমিরের মতো উজ্জ্বল তারার সাথে
স্বপ্ন রচনা বৃথা ।
আকাশে তারার ঝলকানি
মাটির পৃথিবীর বুকে
কেবলই রাঙা সূর্যোদয়।
মহারণ্যে হিংস্র জীবগুলো
থাবা উচিয়ে—
ছদ্মবেশে করছে শিকার ;
সম্পর্ক কেবল খাদ্য আর খাদকের।
যৌবনের তাড়নায় হিংস্র দেহখানি
কেবলই ;
গ্ৰীষ্মের রোদ দেখাতে চাই
নিজেকে,মাটি শুকিয়ে
শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু
শুষে নিতে,—-
পিশাচ নখগুলো,রক্ত
রঙে পরিপূর্ণ।
শাণিত লেহনে জরাজীর্ণ আজ
পৃথিবী—-।
গভীর-গভীরতর অসুখ
থাবা বসিয়ে জানান দিয়ে যায়,
মুক্ত বাতাসে কেবলই
ভেসে আসে মিষ্টি ফুলের গন্ধ।