শেষ হয়ে // প্রিয়নীল পাল
গুটি কয়েক অনুভূতি গুলো পড়ে ছিল বারান্দায়
তোর দেওয়া আঘাত মুখ বেকিয়ে আমাকে রাগায়।
আমার ঘরের দেওয়াল টা খালি হেসে যায়
আমি চাদর গায়ে দিয়ে নিজের অনুভূতি লুকায়।
বোতলের গা বেয়ে এক ফোটা জল গড়িয়ে পরে
সেই যেনো চোখের জল ফুটে ওঠে প্রতিচ্ছবি হয়ে।
রুলপেন্সিল লিখতে গিয়ে চাপে মুখ ভেঙে ফেলে
আমার আঙুল গুলো কষ্টের দাগ এরকম করেই টানে।
বুক যেনো ফাঁকা ইতিহাসের পাতা,
কিছু একটা লিখবো বলে শুধুই হারিয়ে ফেলে ইতিকথা।
বাইরে ভীষণ রোদ আর হাতে কালো ছাতা
সব তাপ শুধু শোষণ করে চলেছে
আর আমি পুড়ে যাচ্ছি যখন নামছে সন্ধ্যা।
.
.
.
বহমানতা // রণেশ রায়
বহমান এ আসা যাওয়া
আদি থেকে অন্তে
সূর্যোদয় ধরে উদয়ের পথে
দিন শেষে সন্ধ্যা আসে
সূর্যাস্ত ধরে রাতের জ্যোৎস্না
যতক্ষন না আবার ঊষার আগমন
এরই মধ্যে কিছুদিন অন্তর
ঘড়ির কাঁটা ধরে
অমাবস্যার আনাগোনা
চারিদিকে ঘোর তমসা
শুক্ল পক্ষ হয়ে কৃষ্ণপক্ষ
দিগন্ত বিস্তৃত এ জীবনে
হাসি কান্নার আনন্দ বেদনা
সুখ দুঃখের মিলন মেলা
পরিবর্তনের কান্ডারি বৈঠা বায়
নতুন দিনের অপেক্ষায়।
.
.
.
পশ্চিমি বাতাস উৎসর্গ তোমায়//রণেশ রায়
যদি আমি বিবর্ণ পাতা
ও: সর্বশক্তিমান পশ্চিমি বাতাস!
বয়ে নিয়ে চল আমায়,
হলে আমি ত্বরিতগতি মেঘ
ভেসে চলি তোমার ডানায় ডানায়,
যদি আমি সমুদ্রের ঢেউ
দেখ আমার প্রলয় নাচন,
তোমার অঙ্গে অঙ্গে
তোমার হাত ধরে
ভাসি আমি তরঙ্গে তরঙ্গে।
ও বন্ধন হারা মুক্ত বাতাস
তোমার শক্তি শিহরণ জাগায় আমায়,
দাও আমায় ক্ষমতা তোমার।
আমি যদি শৈশব ফিরে পাই
তোমার বন্ধু আমি,
তোমার ক্ষমতার ভাগিদার,
তোমার সাথে বিচরণ আকাশে বাতাসে,
পাল্লা দিয়ে চলি গতিকে তোমার।
কিন্তু হায়! জীবনের এই দিনান্তে
অক্ষম আমি, তাই নিবেদন আমার
ও উন্মাদ বাতাস, তুমি বন্ধু আমার,
সাহস জোগাও, আমাকে জাগাও,
সাঁতার কাটি ঢেউয়ে ঢেউয়ে;
এ নব বসন্তে পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায়
নতুন পাতায় নব জন্ম আমার
ভেসে চলি মেঘের ডানায় ডানায়।
জীবনের কণ্টক শয্যায় আমি শুয়ে রই
আঘাতে আঘাতে আমি বিদীর্ণ
আমি রক্তাক্ত, রক্ত ঝরে,
তাও ডরি না আমি ভয়ে।
কিন্তু হায়!
এ জীবন সায়াহ্নে
সময় বয়ে নিয়ে যায় আমাকে
তার ভারে আমি ভারাক্রান্ত,
শৃংখলিত আমি, আমি ন্যুব্জ আজ,
তবু জেনো আজও অদম্য আমি
আমি তোমায় ভালোবাসি
তোমার গতি তোমার উদ্যম
অহং আমার, তুমি বন্ধু আমার।