কিছু এলোমেলো প্রশ্ন // সঞ্জীব সেন
.
কে না চায় একটা সম্পর্কজীবন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা, যতিচিহ্নবিহীন,,
কে না চায়, চাওয়া পাওয়ার হিসাবের খাতাটি বন্ধ থাক আজীবন, আর গমন হোক প্রতিসারণ বিহীন,
আর নদীর বুকে জেগে থাকুক সম্মতিসূচক চিহ্নটা,
এমন স্বপ্ন দেখে জেগে বসেছি অনেকক্ষণ,
মনে পরে গেল, নীললোহিত বলেছিল,
আমি প্রহরী যখন তোমায় দেখি
আর যখন দেখি না তখন ছুঁয়ে থাকি,
আজ আমার প্রথম উপন্যাসের প্রকাশ
ঠিক তখন তোমারও কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ অনুষ্ঠান, কেউ বলল চাপ নেবেন না ম্যাডাম, এটা জাস্ট কো ইনসিডেন্ট,
ঘটিহাতা ব্লাউজ ভারী ফ্রেমের চশমায় তোমায় চারুলতার মত লাগছে আজ,
শুধুমাত্র তোমার নামের কাছে হেরে গেলাম
“এসো,বৃষ্টি পতনের শব্দ শুনি” ।
.
কী লাভ পাও কবিকে বিক্ষত করে // সঞ্জীব সেন
যতবার ভেবেছি তোমার দেওয়া সব সবটুকু ভাসিয়ে দেবো,
তাই নদীর পারে এসে দাঁড়িয়েছি, কিছুক্ষণ হল,
শেষ বিকালের আলোয় কি সুন্দর নৈস্বর্গ, মন ভাল করে দেয় ।
জাড্য ধর্ম মেনে সূর্যটাও কি সুন্দর জানান দিচ্ছে নিজের অস্তিত্ব ,
এখান এসে কাটিয়েছিলাম, তার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে, তোমার খোলা পিঠে সেদিনের প্রথম বৃষ্টির ভাষা ,
সুতোহীন না হলে কিভাবে হবে সম্পূর্ণ স্নান যখন নদীও ভালবাসার কাঙাল
নিজেকে নিবৃত্ত করতে পারিনি আজ সেসব মনে পরলে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়, ।
কী লাভ পাও কবিকে বিক্ষত করে,সে তো কবেই হার স্বীকার করে বসে আছে,
নদীর পারে দাঁড়িয়ে আমি তুমি আজ কোন পারে,
আজ সহসা পরকীয়াগুলো ঈ কার সমেত উড়ে যেতে দেখি
ছুঁতে পারি না স্বপ্নের ভিতর , চাইও না, কি করে চাইব, যাকে চেয়েছি একদিন স্বকীয়তায় ,
শুধু জানি ভালবাসার কাঙালীপনার চেয়ে নিবিড় সংযমে বেঁচে থাকা ভাল ,।