
প্রিয়া,
জানি তুমি ভালো আছো সুখে আছো বিধাতার অকৃপণ স্নেহে ;-
লাল শাড়ি সিঁথিতে সিঁদুর, স্বর্ণ আভরণ পদ্মের ডাঁটার মতো দেহে
দ্যূতি হয়ে খেলা করে। ছিলে তুমি একদিন চাতকের তৃষ্ণার বারির মতন,
তোমার চোখের তারায় হারিয়ে যেত দূরে বহু দূরে ফেরারী এ মন।
আমার হৃদয়ের সহস্র রক্তবাহী শিরাধমনীর প্রতিটি স্পন্দনে দিনরাত
যার নাম জপে চলি চিন্তায় মননে, – সে তো তুমি। সেই সুপ্রভাত
যে প্রভাতে তুমি নাই তার কি ছিল প্রয়োজন ?
অন্ধ যেন সমস্ত দিনের শেষে কল্পনার সব রং দিয়ে রঙিন স্বপন
দেখে, – তেমনি আমি তোমার মূরতি মনের ক্যানভাসে এঁকে চলি ;
কল্পনার যত রং মননের তুলির আঁচড়ে উদ্ভাসিত হয় পাখা মেলি ।
দিন আসে দিন যায় পার্কের বেঞ্চিতে ধূলো জমে
চিঠিগুলো মলিন হয়ে মুছে যায় ক্রমে,
ডাইরির পাতার ফাঁকে গোলাপের পাঁপড়িগুলো ঝরে পড়ে যায়।
অন্ধকারে জেগে থাকি একা রামগিরি আশ্রমে বিরহী যক্ষের প্রায় ;
জন্মান্তর যদি কিছু থাকে দেখা হবে আবার দুজনে
হয়তো বা অন্য কোন দেহে হয়তো বা অন্য কোনখানে।।