বসন্ত জাগ্রত দ্বারে যৌবন ডেকেছিল তারে
কত খোঁজ করে কতদিন পরে সাড়া দিয়েছিল সে,
শঙ্কিত পদে আনত আঁখিতে কার বুকে মাথা রেখে–
উদ্বেগে ভীরু দীর্ঘ শ্বাসের সেদিন লুকানো আশে
বালি খসে পড়া খয়াটে চেহারা নোনাধরা ইট হাসে।
কতো কি দেখেছে রাগে অনুরাগে বিপ্লবী চেতনাতে।
কেউবা মরেছে কেউ জিতে গেছে চিলেকোঠাটার ছাতে।
ওরাতো দেখেছে সাক্ষী থেকেছে কত ভীরু চাহনিতে,
মুখে মুখ আর হাতে হাত রেখে কতকে ছুঁয়েছে কাকে।
হয়নি তফাৎ নিলাজ ফাগুন আগুনের মতো তাপে
পোড়াতে চেয়েছে প্রেমের আগুনে সেই চিলেকোঠা ছাতে।
নিষিদ্ধ ফল পল অনুপল এতোটুকু ছুঁয়ে দেখে
কি জানি কি আশা মধু ভালোবাসা হঠাৎ কে যেন আসে।
তাই ভীত মনে গোপনে সেদিনে কাছে টেনে নিতে তাকে
বালি খসা ইট অরূপ হেসেছে দিশাহীন চাহনিতে।
কিশোর বাসর মিলনমেলায় চিলেকোঠা অধিবাস
দোমড়ানো ব্যথা সেদিনের কথা কি দারুণ অভিলাষ!
চিলেকোঠা আজও অম্লমধুর খুনসুটি অভিমান
নোনাধরা ইটে বটেরঝুরিতে ভাঙাচোরা রূপটান।
কত ব্যথা হার মেনেছে সেথায় কত ভালোবাসা গান,
ভয়ে আজ কেউ দেয়নাকো উঁকি ভাঙাচোরা সবখান।
কেউ বলে ভূত বাসা বেঁধে আছে রাতে তারা ধরে গান,
প্রেমের কবিতা মরে যেনো সেথা নেই কারো অভিযান।
ভালোবাসা আজ কপোত কপোতী সেথা ভীরু চোখে চায়,
সেই চিলেকোঠা হারানোর ব্যথা পুরানো কলকাতায়।