মা, সধবা সাজে শ্মশানে এলেন কাঁচের গাড়িতে
তারপর রাখা হল শ্মশানের বাঁধানো মেঝেতে
ঘি মাখিয়ে সারা দেহ জ্বলে যাওয়ার প্রস্তুতি
শাঁখা চুড়ি খুলে রেখে ছেলেরা পিন্ডিদানে ব্যস্ত
মা এখন প্রেতপুরীর সদস্যা, তাকে মুক্ত করার
চেষ্টায় মন্ত্র তন্ত্র, শ্মশানবন্ধুদের চোখের জল,
একটু বৈরাগ্য। দেহ ঢুকলো চুল্লিতে, বিদ্যুতচুল্লি
মাত্র চল্লিশ মিনিট, তারপরেই জীবন থেকে
নেওয়া ছুটির ঘন্টা, জ্বলন্ত চিতায় শান্তিবারি
সব যন্ত্রণা সহ্য করে, ছেলেদের চোখের
আড়ালে কান্নামোছা মা আমাদের পরম ছায়া, আশ্রয়,
আজ ছুটির ঘন্টা শুনে আনন্দে গঙ্গায় গেলেন…