
.
আজ পাপাইয়ের জন্মদিনে
ওকে কি যে দিই কিনে?
ও তো নিজেই এখন মা,
ওর মেয়েও বড় হয়েছে দেয়না সে হামা। .
সেই ছোটবেলায় ফ্রক পরে
পুতুলের মতো বেড়াত ঘুরে
আমাকে দেখলেই দৌড়ে এসে কোলে,
পিঠ্, ঘাড়ে চেপে বসতো খেলার ছলে।
এখন ওর মেয়েও তাই করে
দুষ্টুমির ফন্দি মাথায় নিয়ে ঘোরে।
একটু বড় হলো যখন সে
সাইকেল ছাড়া নড়েনা তখন সে। .
নাইন টেনে উঠে পড়াশোনায় মনটি দিল
আগের চেয়ে শান্ত, ভদ্র ভালো মেয়ে হলো।
মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকে দারুণ রেজাল্ট হয়ে
কলেজে পড়তে গেল, ইতিহাসে অনার্স নিয়ে।
ইতিহাসেই বিএ আর এমএ পাশ করে
বিএড পাশ করে নিল দেরি না করে। .
কিন্তু কপাল এমন তার, চাকুরি জুটলো না আর
যতদিন যায়, দুঃখ কুরে খায়, মন করে হাহাকার।
শিবের মতো বর পেয়েছে, সরস্বতীর মতো মেয়ে
লক্ষ্মীর মতো ঘরকন্না করে সকল দুঃখ সয়ে। .
একটি যদি চাকুরী জুটতো শিক্ষকতার
তাহলেই সার্থক হতো ওর ভরা সংসার।
এই জন্মদিনে আর কিইবা দিই ওকে
এই বছরেই যেন ছেঁড়ে ওর ভাগ্যে শিকে।
.
.
.