(কখনো কখনো একটি ক্ষণের বর্ণনা দিতে গিয়ে লাখো শব্দও কম পড়ে যায়,আবার কখনো কয়েকটি পংক্তি জীবনের সবকথা তুলে ধরে অতি স্পষ্ট ভাবে চোখের সামনে।’জবাব’ সেইরকমই কয়েকটি পংক্তির সমাহার-যার মাধ্যমে দুটি মানুষের জীবনযুদ্ধের কথা তুলে ধরলাম।)
নামটা কত সুন্দর রেখেছিলেন তমা তাঁর প্রথম সন্তানের-‘টুসি’।সব ভালোই চলছিল।কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন যে এই মেয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী।কানে যে কিছুই শুনতে পায়না।
আত্মীয়স্বজন,প্রতিবেশী সবাই যেন সবথেকে বেশী নিরাশার অন্ধকারে ঢেকে দিলেন তাঁকে।।ভেঙে পড়লেও তিনি হার মানলেন না।কঠোর মনোভাব রেখে মেয়েকে বড় করে তুলতে লাগলেন আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মত।
আজ সে বিশাল খেলোয়াড়।ডিফ্ অলিম্পিকে যোগদান করতে চলেছে।দেশকে গর্বিত করতে চলেছে সেই নিরাশার জগতের মেয়েটি।
তমা আজ শুধু আনন্দিত নন,খুব গর্বিত।তিনি ঐ মানুষ গুলোর কাছে জিতে গিয়েছেন,যাঁরা এই মেয়েটিকে দেখে ভ্রূ কুঁচকে বলেছিলেন-‘ঘরের বোঝ হবে ওটা।’