.
.
বৃষ্টির ভেতর ঘুম পায়
কোন্ অতল সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছি
একাকী নৈঃশব্দ্যের ডাকে সমস্ত চৈতন্য হারাই
আর ঘুরে ঘুরে আসে সেই মুখ
যে মুখে সহস্র চুমু লেগে আছে
যে মুখ চাঁদের আলোয় ধোয়া
শরীর উজ্জ্বল মাছ
.
.
বাঁশিটি কোথায় গেল ?
বাজাতে পারি না, কলমটি নিজেই লিখে চলে
একটি নিজস্ব বাগান এই জলের অতলে
যেখানে পাঠশালার ঘন্টা বাজে
ছুটি হয়
অথবা চেয়ে থাকি সেই অনাবৃত মুখে
চেয়ে থেকে থেকে মুখ পাপড়ি হয়ে যায়
লাল পদ্মের মতো
.
.
আরও গভীর জলাশয়
পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেলে সব মুখে সেই মুখ হাসে
সব ছোটবেলা দৌড়ে যায় আমার ছোটবেলায়
তারপর ফুটবল মাঠ, বৃষ্টি আসে, মেঘ হয়
ছোট্ট চায়ের দোকানে বর্ষার জলে ভেজা মাছ
আমাদের গায়ে লেপ্টে থাকে আঁশটে গন্ধ
অস্ফুট ছোঁয়ার
.
.
ঘুমের ভেতরে জলের কল্লোল ঢোকে
ভাসায়
এখনও ভাসায় জীবনের নদী
নৌকাও খুঁজি না আর
জ্বর ছেড়ে গেলে, বিহ্বল রাতে ফুটেছে সোহাগ
আত্মকেন্দ্রিক নীরবতা পেয়েছে গভীর চোখ
যে চোখে দেখা যায় নিজেরই মৃত্যু এবং বেঁচে ওঠা
মগ্ন পায়চারি
.
.
যত ইচ্ছে হাওয়া ওঠে আজ
জলের ভাষাকে হাওয়া মুদ্রিত করে
সমুদ্রে সমুদ্রে জলাশয়ে লিখে যায় তরঙ্গ পুস্তক
মুদ্রণ প্রমাদ নেই, কণ্ঠরোধ নেই
ট্রাভেলর হারায় না পথ
ঘুরে ঘুরে মুখ আসে, মুখে মুখে নিথর বিশ্বাস
জেগে ওঠে
.
.
গাছে গাছে পাতা ঝরে ৠতুও পরিবর্তন চায়
পাথরও গড়িয়ে নামে, পাথরে গড়ায় যুগভার
পাতায় পাতায় নাম লেখা, যদিও অদৃশ্য সব
যদিও ভাবনার কথা, তবু কষ্ট লেগে থাকে তাতে
কষ্ট সব নিরুচ্চার গান
.
.
সহমত হবে না যদিও, তবু বিতর্কে যাব না
জলের অতলে ঘুম, ঘুমেও মিশেছে চেতনা
আলোর প্রয়োজন নেই, অন্ধকারে সমস্ত বন্দনা
জল জানে , মেঘের করুণা নয়
করুণায় নয়কো বসবাস —
দীর্ঘ দীর্ঘ সময়ের মুহূর্তগুলি থেকে পাওয়া
কয়েক ঝলক সহবাস
.
.
.
.
.
.