(একবিংশ শতকের আধুনিক সমাজে ডাইনি অপবাদে কাউকে মেরে ফেলার ঘটনা খুবই লজ্জাজনক।
আকছার এই ঘটনার নিদর্শন কাগজে আমরা দেখছি।)
গ্রামের লোকের কাছে
আমি এক ডাইন
এক বিংশের আধুনিকতাই
হার মেনে যায় আইন।
মুখে মুখে চাউর
আমার বিশাল ক্ষমতা
জ্যান্ত মানুষগুলো মেরে ফেলি
নেই কোন মমতা।
আমার ডাইনি হওয়ার
আছে এক দারুণ বলিদান
এর জন্য স্বামীর রক্ত
করেছি আনন্দে পান।
আমি হৃষ্টপুষ্ট সুন্দর দের
বেছে বেছে মারি
আমি রক্ত পিপাসু
এক বিধবা নারি।
ডাইনি হওয়ার পথ কিন্তু
খুব সহজ নয়
এর জন্য আগে প্রিয়জনের
রক্ত পান করতে হয় ।
আমি রক্ত পিপাসু এক নারি
আমি ঝাড়া এক ডাইন
বিংশ শতাব্দীর আধুনিকতা
হার মেনে যায় আইন।
বৃথা বিজ্ঞানের আবিষ্কার
বৃথা তোমাদের প্রগতি
ডাইন নামক বিদ্যা শিখলেই
ঘুচে যবে দুর্গতি।
এই তো পাশের বাড়ির
বাচ্চাটা কেঁদেই চলেছে।
কেন থামবে বল?
পিছনে আমার দৃষ্টি রয়েছে।
আবার ক্যান্সারে মরে গেল
যুবক এক তরতাজা
সারবে কি করে?ঔষধ
করে দিলাম বেকাজা।
দেখেছ আমার ক্ষমতা
একেবারে ঠান্ডা লড়াই
না ঝামেলা না কোন
আইনের ফাঁদে জড়ায়।
শুধু মাঝে মাঝে তোমরা
কর আমার পর্দাফাঁস
তাই জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার
ভীষণ অভিলাষ ।
কখনো ডেকেছো গুনিন
কখনো করেছ গ্রামছাড়া
কখনো বা ঘুরিয়েছ গ্রামে
করে উলঙ্গ আর মাথা ন্যাড়া।
আমি কিন্তু নাছোড়বান্দা
আইনের পথ ধরে
বারবার ফিরে আসি
আমার আপন ঘরে।
পারি কি থাকতে চুপ করে
নিয়ে এলাম মহামারী
কত মায়ের কোল খালি
কাউকে করছি বিধবা নারী ।
ভেবেছিলাম পেয়ে যাব পার
জতুগৃহ তৈরি হল আমার
অন্যায়ের প্রতিবাদে, জ্যান্ত
পুড়িয়ে করল প্রতিকার।
চাঁদে যাবে? কৃত্রিম উপগ্রহে?
ব্যয়বহুল ইসরোর পিছু ?
বিদ্যা টা শিখে নিলে দেখো
লাগবে না এতকিছু।
আমার ভ্যানিশ কাঠি দিয়ে
মঙ্গল, চাঁদে যেতেই পারো
ডাইনি বিদ্যা শিখে নিলে
লাগবে না ইসরো ।