আয়,
আরো একবার
তোকে নিয়ে
পদ্মদিঘির পাড়ে বসি
ঠোঁট দিয়ে তোর সারা শরীরের পালকগুলি
খুঁপে খুঁপে পরিস্কার করি
তোর চোখের স্বপ্ন নিয়ে
আমার চোখের স্বপ্ন মাখি
মানবসভ্যতার পথে ঘাটে বনে বাদাড়ে ধর্ষিত
স্পর্শচিহ্নগুলি মুছে দিই তোর..
মরালগ্রীবায় দুপাতা ভালোবাসা লিখি |
আধো আধো ছন্দ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
আগলে রাখি সারাটা দুপুর
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
চোখের জলে দুঃখ অনুভবের
ভাবনাগুলি ভিজিয়ে
উষ্ণ বুকে আঁকি শুভ্রতার চুম
এরপর
ফিরে চলে যাস্ উড়ে উড়ে
যে খানে রাখা আছে সাংসারিক ঘুম |
আমরা আদতে পাখি
আমাদের মিলনে প্রকৃতির রসায়ন
ভারসাম্য শুধু টিকে থাকার
সাবলীল দ্রবনে অদ্রবনীয় আমরা,
সভ্যতার শুভ্রতায় ভাসি |
আমাদের সভ্যতায় লুকানো বর্বরতা নেই
ছন্দোময় পৃথিবী নোংরা নয়
তাই দু ডানা বেঁধে মানুষের মতো
নির্ভয় নির্ভয়া হবো না কেউ
নির্ভয়ে ভালোবাসতে পারি
আমাদের নগ্নতা লুকোনো নেই যে
কামুকের মতো বেহায়া দৃষ্টি দেবো
লম্পটের মতো ক্ষতবিক্ষত করবো তোকে,
তোকে আর সভ্য পৃথিবীতে লাঞ্ছিত হয়ে
বলতে হবেনা অসভ্য অভদ্র ইতর শব্দগুলি
আমরা পালক দিয়ে ঢেকে রেখেছি উষ্ণতা
আমাদের ডানার নিচে মস্ত আকাশ
বনহংস বনহংসী হয়ে ঘুরি
সভ্যতার পাশব প্রবৃত্তি নিয়ে
গোপন অঙ্গ ক্ষত বিক্ষত করি না কেউ
ভালোবাসায় রোজ ক্ষত বিক্ষত হই
আমরা আদতে পাখি
দুচারটে শিকারীর আঘাত সহ্য করে করে
অনন্তকাল আকাশে ঘুরে বেড়াবো,
তীব্র অভিলাসে ভাসি|