তৃষ্ণার্ত এক পথিক জলের সন্ধানে
পৌছে যায় জনহীন প্রান্তরে
এদিক ওদিক চাই জল নাহি পাই
ফাটছে ছাতি, জলের বাসনা অন্তরে।
দূরে দেখে যেন, শীতল ছায়া হেন
মনে আশা রেখে ছুটে গিয়ে দেখে
পাথরের চাঁই, কঙ্কালের ঠাঁই
করে চকচক,বৃথা আশা কেন?
দিশেহারা প্রাণ করে সন্ধান
কখন ছোটে কখনও বা হাঁটে
হয়েছে পাগল করে সরগোল
কামড়ে মাটি আঁচড় কাটে।
অবশেষে বিকেলে রবি অস্তাচলে
গুড়িগুড়ি পায়ে পৌছালো গাঁয়ে
দেখে ফুলফল শোনে কোলাহল
শ্রান্ত পথিক বসি এক ছায়াতলে।
মেঘ ঘন কালো জল নেমে এল
পথিকের পিপাসা এবার মিটিল
গাছেতে হেলিয়া দেহটি এলিয়া
শুয়ে শুয়ে এক সপ্ন দেখিল-
কহিছে তারে শোন বাছা ওরে
কেন কাটো নীরব অবলা গাছেরে?
তোমরা বোকা,আমরা তো সখা
জীবন হানি,নাহি কর রে।
,তোমরা অবুঝ, কেটেছ সবুজ
মাঠে ঘাটে নেই তরু।
নিজের দোষে, পড়েছ রোষে
এনেছ ডেকে মরু।