__________
……….
অনুচিত কেন উচিতের পাড়ায় ঘোরে ?
সংবিধানে নেই, ধর্মগ্রন্থে নেই
অ্যাসিডে তরুণী পোড়ে
কী চায় যুবক ? দেহটুকু শুধু ?
দেহে কি দিঘি আছে ?
পদ্ম ফোটে না, চাঁদও ওঠে না, নৌকা ভাসে না জলে
লজ্জার হাঁস ডুব মারে তার শামুকপ্রহর জুড়ে
একা আনমনে নিম্নবিত্ত দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে
দুঃখের গানে সুর খুঁজে ফেরে — কোথা পাবে সুর ?
অনুচিত কেন আসে ? তার শূন্যতা জুড়ে
আলো-আঁধারের বেড়া, প্রতিমা সাজায় ভেতরের ঘরে
প্রেমালাপে তার জ্বর। প্রলাপ বকে। প্রলাপে দিন কাটে
পুড়তে পুড়তে সব পুড়ে যায়
সাদা চাদরে দাগ, পোড়া গন্ধ
এই হাতে বিশ্বাস ধরবে কেমন করে ?
———-
_____________________
……….
সে ছিল আমারই কাছাকাছি
ধুলোরাস্তায় আমি তার সঙ্গে হাঁটি
আর রোদ এলে আড়াল করি
আমাদের ইজ্জত ঢাকা থাক
আমাদের পরামর্শরা রাস্তা দেখাক
কতদূর চলে যাই
সমুদ্রের মতো এ শহর
আমাদের ঢেউ কি কেউ বোঝে ?
অনুভূতি গড়াগড়ি খায়
নিজেদের ছায়ার পাখি নিজেরাই উড়াই
আর নিরিবিলি বুঝে গাছ হয়ে দাঁড়াই
রেললাইন জেগে থাকে
আমাদের বুকের ভেতর ঘুমায় রাত
হাতে হাত ধরে থাকি
আমরাও তো উত্তরণ পেতে চাই !
ক্লান্ত রাস্তার পাশে আমরা তো সীমাহীন
দুর্লভ ভিখিরি হয়ে বাঁচি
———-
_____________
……….
কেবলই স্মৃতির মাঠে
হরিণের শিং ছুটে আসে
আমি স্তব্ধবাক্ পাখিটির কথা ভাবি
আলো জ্বালি না
একাকী প্রহর গুনে তার কাছে যাই
কত জল আনাচ-কানাচ ভরে আছে
ঢেউ ওঠে আর নাচে পাল-তোলা তরুণী নৌকারা
কত শতকের মাঠ ?
ক্ষত জুড়ে ছায়া ফেলে আছে
স্মৃতির রশ্মিতে ভোরের চকাস হওয়া পথ
কিছুটা স্মৃতির সিক্ত নাভি ——
বাতাসে হেমন্তকাল যাওয়া-আসা করে
চিনে নিই তাকে
আঙুলে আঙুল এখনও জড়ায় ।
—–