১
বাসর
একটা ছুরির মতো তীব্র উদ্ধত মুখ
মৃত্যুর
চারিপাশ ঘিরে দাঁড়াচ্ছে আমার
আমি কখনও চুমু খাইনি ওকে
কেঁপে উঠছে আমার কুমারী হৃদয়
চতুঃসীমা অস্পষ্ট ধূসর
কাউকে ডাকার ভাষা জানা নেই আর
ফাঁকা হাতে কিছুটা শূন্যতা চেপে আছি
শূন্য ভরা এপৃথিবী শুধু
ডুবে গেছে চাঁদ
সব মলিন কাগজগুলি উড়ছে কবিতার
কেউ আর আমার কাছে থাকতে চাইছে না
এই তবে অমোঘ বাসর?
আমি একা, সেও একা অদ্ভুত সুন্দর!
২
সিংহ গর্জন করছে
সিংহ গর্জন করছে শুধু —
আমরা নিজের ভেতর
নিজেই লুকিয়ে আছি ।
হাত বাড়াচ্ছি না —
গলাখাকারি দিচ্ছি না —
যদিও ভয় পাচ্ছি
উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছি না ।
এখন দিন না রাত
সূর্য উঠেছে না মেঘলা
কিছুই বোঝা যাচ্ছে না !
ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস পড়ছে কার ?
চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারছি না
সে আমার আপনজন কিনা !
৩
একটি এলোমেলো
ইচ্ছে নেই,ইচ্ছে নেই
কোথা গেল ইচ্ছেরা সব?
ফাঁকা হাত,উলঙ্গ মানুষে
ভরে গেল পাড়া,
দিনরাত শুধু কলরব !
কার বাঁশি কে বাজাল
কে কাকে ডাকতে এল
হাওয়ায় উড়ল গার্হস্থ্য শব
জল তুলল কলসি কলসি
কিছুই বলল না দিঘি
ঢেউ তুলে গেল হুলুস্থুল অভিভব
কানামাছি ভোঁ ভোঁ
বিশ্বাসের দরোজায়
কড়া নাড়ল অবিশ্বাস
সম্ভবের গান থেমে গেল
সারাপাড়া দাপিয়ে বেড়াল অসম্ভব ।