১
আমার সর্বনাম
____________________________
নিজেকেই ডেকে ডেকে ফিরি
নিজেকেই খুঁজে খুঁজে ফিরি
এই বনপথ, এই হ্রদ , লজ্জাবিহীন সীমানা
কোলাহল সাঁতার সঙ্গম পর্যাপ্ত আঁধার
আলো আর দেহ আর অব্যক্ত গান
গাছে গাছে মর্মর আবেগ
কাঁপা কাঁপা অনিঃশেষ তোলপাড় কাম
স্রোত বয়ে যায়
জলে কার ছায়া ?
রা দেই আমি আর আমার সর্বনাম ….
————–
২
ঈশ্বরের মুখ
____________________
প্রাচীন মন্দিরের গায়ে ঘণ্টা লাগানো আছে
আর এই ঘণ্টা না বাজালেও বেজে যায়
বিমূর্ত ধারণা থেকে পাওয়া এইসব ঐশ্বরিক
মুহূর্তগুলি
পার্থিব অপার্থিবে যাওয়া আসা করে
কিছু কিছু মানুষ দৈবদূতের মতো আগুন লাগা বাড়ি থেকে
পোয়াতি নারীকে বাইরে বের করে আনে
অথবা ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে ডুবে যাওয়া জাহাজের
ভাঙা পাটাতন যা তীরে পৌঁছে দিতে পারে
হিরণ্য রোদের দেশে বাউলের গান নিঃস্ব মানুষের তরি
অথবা মৌসুমি বায়ুর আশ্বাসে কৃষকপাখির পরান নাচে
এক একটি ফুল দেবতার নামে ফোটে
দৈবভিখারি মানুষ স্বর্গ বানায় ধুলোঘরে
বিমূর্ত ধারণা থেকে পাওয়া এইসব ঐশ্বরিক
মুহূর্তগুলি
পার্থিব অপার্থিবে যাওয়া আসা করে
কিছু কিছু মানুষ দৈবদূতের মতো আগুন লাগা বাড়ি থেকে
পোয়াতি নারীকে বাইরে বের করে আনে
অথবা ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে ডুবে যাওয়া জাহাজের
ভাঙা পাটাতন যা তীরে পৌঁছে দিতে পারে
হিরণ্য রোদের দেশে বাউলের গান নিঃস্ব মানুষের তরি
অথবা মৌসুমি বায়ুর আশ্বাসে কৃষকপাখির পরান নাচে
এক একটি ফুল দেবতার নামে ফোটে
দৈবভিখারি মানুষ স্বর্গ বানায় ধুলোঘরে
————
৩
বাবার ক্ষেত
______________________
বাবার ক্ষেত পাহারা দিচ্ছি
এই রাত নেমে আসছে
রাতের বিষণ্ণ ডানা
ঢেকে দিচ্ছে মৃদু প্রদীপ
শস্যগুলো হাত বাড়াচ্ছে
: কোলে নাও ! একবার আদর করো!
চারিদিকে কুহক ছড়িয়ে পড়ে
ধ্রুব তারাটির চোখে চেয়ে থাকে বাবা
আমিও সারারাত জেগে মাটির উত্তাপ চাই
মাটির শরীরে…..
৪
কেরোসিন
___________________
কেরোসিন ফুরিয়ে গেছে
দৈন্যের লম্ফু নিভে যাবে
আলোতে কী দেখতাম আমি
অন্ধকারে কী দেখব তবে ?
হা করা রোশনি সব
কেউ কারো কাছেই থাকে না
ডোমনির মতো দেহ দেয়
দেহে বিদ্ধ করার মতো লিঙ্গ কই ?
পেছন ফিরেই গেছি
দূর্বাজলে শ্যামর়াধা খই
তাই নিধি
নিধিকে বসাই কোলে
কেরোসিন নেই বলে
মনে মনে রোদ
সব জানে কেউ কেউ
হাঁসের গলায় ডাকা ভাষা
শুনতে পাই
শুনেও বুঝি না
নষ্ট সব অর্থ এর
নির্জনে বসাই …