১
হেমবর্ণ ঈশ্বর
___________________________
এখন অনুমান করে নিতে পারছি
সব রমণীরাই এক একটি সাদা ঘোড়া
প্রেমিকেরা তাদের পিঠে চড়ে চলে যাচ্ছে
দূর নক্ষত্রের দেশে
আমরা বিহ্বল হয়ে তাকিয়ে থাকছি
মাঠময় আমাদের কুঁড়ে ঘর
ঘরে ঘরে কোলাহল জেগে আছে
অভিব্যক্তির চড়া রোদে শুকিয়ে নিচ্ছি ব্যঞ্জনা
আর কৌশলগুলি নিরর্থক বহ্নিশিখা
আগুন জ্বালাবার তালে আছে
এক একবেলা মেঘের পাহাড়ে
কল্পনার ছেলেমেয়েরা খেলাধূলা করে
প্রেমিক প্রেমিকারা তাদের দিকে রুমাল ছুঁড়ে দেয়
সেইসব টুকরো রুমালে নৈসর্গিক ভাষা চিকচিক করে ওঠে
আমরা সদর্থক জীবন ভিক্ষা পাই
আমরা গোধূলির পাঠশালায় হেমবর্ণ ঈশ্বরকে দেখি
যে আমাদের প্রত্যয় জাগায় প্রত্যহ
—————————
২
শুধু পা
__________________
শুধু পা দেখা যাচ্ছে
কেউ কেউ হেঁটে যাচ্ছে পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত
মানবসমুদ্রের ধারে বিকেল প্রহর
আমি শুধু ঢেউ গুনছি নীল লাল রূপোলি ঢেউগুচ্ছ
বৃহৎ হাতের তালুর মতো আকাশ কয়েকটা রেখা টেনে দিয়েছে
ভাগ্যরেখা হৃদয়রেখা শিরোরেখা এইসব হিজিবিজি
রেখাগুলির মাঝে মাঝে মেঘের রুমাল বেড়াল হয়ে যাচ্ছে
আমি কল্পনার স্বপ্নগুলিকে কিছুতেই পায়রা হতে দেবো না আজ
কতদূর সমুদ্র কেউ জানে না
ভূগোল পড়াতে পড়াতে নীলুফা রহমান
চোখের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন সেই অদৃশ্য সমুদ্র
আমরা উদাসীন হয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার মুখের দিকে
গোল ভরাট মুখটি তখন বলে যাচ্ছিল বায়বীয় শূন্যতার কথা
সেইসব শূন্যতার দিকে যেতে যেতে আজ ফিরে আসছি
পাকা আপেলের মতো আজ ধুলোর ঘ্রাণ আসছে
আজ যত ইচ্ছে ছাইভস্ম মেখে নিতে পারি
ভালোবাসায় ভরে যাক কলঙ্কের দাগ
———————————
৩
স্নেহপাখি
___________________
আমি শুধু নামিয়ে রাখছি অন্যমনস্কের ভার
আমি শুধু মেলে দিচ্ছি দিনান্তসমাচার
উঠোন ঘিরে নামছে স্নেহপাখি
আলোয় আলোয় তাদের উড়তে দেখি
প্রশ্রয়ে নেচে ওঠে অনুভূতির ঘর ।