১
নিজেরই বিশেষ্যপদ
কয়েকটি ছোবল শুধু , চারিপাশে ফণা দুলে ওঠে
ক্ষতগুলি ঢেকে রাখি
আরক্তিম সন্ধ্যায় তবু রক্ত ঝরে
নিজেরই বিশেষ্যপদ — সামাজিক, ব্যাকরণ সম্মত
অথবা গৃহপালিত —
কেন সে আকাশে ওড়ে , অথবা কাঁপে বোধিকল্প জ্বরে ?
বিহ্বল পড়শির কাছে স্বপ্ন চায়
স্বপ্নে এক বাদামি শরীর
শরীরে স্রোতের ঢেউ
আর আরশিজলে নার্সিসিজম্ !
উপরন্তু প্রাচীন চাঁদ সহজিয়া জ্যোৎস্না বিলি করে
বোঝে না প্রবৃত্তিসাধ কেমন মৎস্য হয়ে
ডুব মারে জলে
কয়েকটি ছোবল শুধু ক্ষত করে রাখে
সমস্ত জীবনইচ্ছাকে…
২
নিজেই নিজের আজ্ঞাবহ
খড়ের শব্দ । শীতের রাত । জ্যোৎস্না নেই ।
গান ঝরছে । অন্ধকারের তীব্র গান ।
ধারণার রাস্তা আগলে কুকুরগুলি দৌড়ে গেল ।
হল্লা নামল পথের মোড়ে ।
বিরক্তি আজ । বন্ধ জানালা ।
দুয়ারে সব মৃতমাছ । পর্দা ঠেলছে ।
আসছ কেন ? কে ডেকেছে ?
ভূমণ্ডলের নষ্ট প্রলাপ দিব্যি হাসছে ।
রাঙা চোখের কোনো ইশারা দেখছি না আর ।
তালপাতারা বাঁশি বাজাচ্ছে । গাছে গাছে ।
ঠাণ্ডা বাতাস হাতুড়ির মতো উঠছে নামছে ।
শুনশান ঘুম ওই পালাল । কুকুররগড় চলছে বেশ ।
নিজেই নিজের আজ্ঞাবহ । জানালা খুলি ।
আর কথার দোকান । দোকানে এসেছে চেতনাকুমারী ।
বেশ রূপসী । ছলকাচ্ছে মৃদু গন্ধ ।
কাতুকুতু । হিহি হিহি । লাফিয়ে নামছে শব্দগুলি ।
এসবই খুব প্রাইভেসি ।
ওই রক্ত ঝরল । আবার সঙ্গম । পরপর ।
পর্দা নামাও দেখব না আর । অনুভূতির দোকান
বন্ধ । চোখ ফিরুক চোখের কাছে । বেশ অন্ধকার ।
কুকুরগুলি দৌড়ে গেল…..