.
.
দারিদ্র্য দেখতে পাই এখনও ঘোরে ফেরে
ধূসর রঙের জামা গায়ে
আমারই আস্তিন থেকে লাফ দিয়ে পড়ে
.
কতবেলা মেঘে মেঘে লুকোচুরি খেলে
সাফ সাফ বলেছি ওকে , কেন আসিস?
হিহি হাসে…
ঢুকে গেছি দরজা খোলা পেয়ে !
.
আমি তো মায়ের মূর্তি বানিয়ে রাখিনি
তবু মা কবর থেকে এসে
বাটিতে বাটিতে নুনের চা ঢেলে দেয়
সমুদ্রের মাছের মতো আমরাও বড়ো হই
দারিদ্র্য খেয়ে
.
রোজ ঘর ঝাঁট দেয় বউ
.
চোখের জলের গুঁড়ো আর সমুদ্রের শুকনো ঢেউ
উড়িয়ে দেয় দেখি – –
তবুও হাঙর বসে থাকে , রূপক হাঙর এক
নতুন কেনা পোশাকে আশাকে ওকে ঢেকে রাখি ।
.
.
.
.
.
কালের সীমানা জুড়ে হাঁস ওড়ে
রঙিন ডানায় তাদের নীল সহবৎ
আহা উড়ুক উড়ুক সব সমীচীন রাতে
নষ্ট হয়ে যাওয়া আমার অবুঝ সত্তাকে
দেখাতে এসেছি হাঁস, কত স্রোত অনন্তের জলে
.
কত চাঁদ ডুবে গেল, নক্ষত্রের অক্ষরে লেখা
আকাশ মহিমা কত….
.
একবার বাজুক হৃদয় , পৃথিবীতে কোথাও
রঙিন ঘর আছে , ঘরে ঘরে এরকম
রঙিন খেচর
.
একটা দুটো ধরা দেয় , বাকি রহস্যমোচড়
জানা স্বরলিপিতেও বাজে না হৃদয়
চোখে চোখে ব্যাথাজল, কাতর বর্ষায়
ভেসে যায় নৌকারা
.
হাঁসের ঝরা পালকে চলো মুকুট সাজাই
কেউ না বলুক সম্রাট, মনুষ্যত্ব কেঁপে কেঁপে ওঠে
আমার সাম্রাজ্যে আমি জেগেই ঘুমাই
.
.
.
স্মৃতির সাইকেল গড়ে যাচ্ছে
গড়ে গড়ে যাচ্ছে
.
কাঁচা রাস্তার ধূসর কলতলায়
এসে থামছে
.
নতুন শাড়ির গন্ধ , জলভরা কলসির
আওয়াজ
.
বেণী দুলছে , বেণী দুলছে
সরস্বতী, এভাবে এলে আজ?
.
উদাস সাইকেল চেয়ে আছে —
পিপাসা পেয়েছে তোমার ?
না ! না !
পিপাসারা লুকিয়ে আছে
ভেতরে ভেতরে তাদের কান্না !
শুনতে পায় না কেউ আর ?
.
কলসি চলে যাচ্ছে , কলাপাতা রঙ্
কোমরে দুলতে দুলতে…
.
.
কিছু বলতে ?
.
না ! না ! সেরকম কিছু নয় —
অথচ দুর্দান্ত ঝড় বইছে বিস্ময়
চলতে চলতে সাইকেল পড়ে যাচ্ছে
রাস্তায়
.
.
দূরে কোকিল ডাকছে
ঝরে পড়ছে বসন্তের গান
সাইকেল কথা বলছে একা একা
সাইকেলের অশ্রুজলে ভেজা গূঢ় অভিমান
.
.
.
.
.
সরস্বতী রোজ ট্রেনে যায়
আমি অঞ্জলি নিয়ে অপেক্ষা করি
.
.
সংসারে কত পূজা আর কত রাজহাঁস
তবু বীণা বাজে কই?
.
.
নিজেকে দোলাচালে রাখি
গাড়ি চলে যায় গন্তব্যের দিকে
সূর্য ডুবে গেলে কালনিশি
গা চেটে দেয়
.
.
.
.
বাজাও বাজাও….
সকলের হাতেই আছে বীণা
বাজালেই জানা যাবে
তোমরাও সরস্বতী কিনা !
.
.