”এই পেতনী,কতক্ষণ লাগাবি আর?”
”অ্যাই, একদম পেতনী বলবি না আমায়, নিজের মুখটা আয়নায় দেখেছিস কোনোদিন?বদের হাঁড়ি একটা!”
”আর এখন মুখ দেখেই বা কী লাভ! এক্ষুনি তো সবাই মিলে ভূত বানিয়ে দেবে!”
”হ্যাঁ, সে ঠিকই!আচ্ছা শোন, আমায় কিন্তু বেশী রং লাগাবি না এইবার…. তুলতে পারি না, এমন বাজে রং লাগাস তুই!”
”ইইইহহহ! ঢং দেখো না মেয়ের! থাম থাম, অনেক দেখেছি, প্রতিবার তুই এইরকম ন্যাকামো করিস, তারপর দেখা যায়, সবচেয়ে বেশী ভূতনী তোকেই লাগছে!”
”বাজে বকিসনা তো…. ”
ঐন্দ্রিলা আর অনিন্দ্যর ফোনালাপের মাঝেই ঐন্দ্রিলার মা নীচ থেকে ডাক দেন, ”কীরে টুটুল, কখন নামবি?কী করছিস?”
ঐন্দ্রিলা মাকে তাড়াতাড়ি বলে, ”হ্যাঁ মা, আসছি।”
ফোনে ফিসফিসিয়ে বলে, ”এই রাখছি। মা ডাকছে।”
”আচ্ছা বেশ। তাড়াতাড়ি আসুন আপনি। ওয়েট করছি কতক্ষণ! এলে কৃতার্থ হই!”
নীচে নেমে তাড়াহুড়ো করে ঐন্দ্রিলা রংগুলো খুঁজতে যায়।
”কী খুঁজছিস?এই তো রং এখানে। সব গুছিয়ে রেখেছি আমি।”
”ওহহ, বাঁচালে মা। দাও দাও।”
”সাবধানে যা। ওদিকে তো আবার একজন হা-পিত্যেস করে তোমার অপেক্ষায় বসে আছেন!”
ঐন্দ্রিলা ভীষণ অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকায়।
মা হেসে ফেলেন। ”যা যা, আর দেরি করিসনা, এসে আবার স্নান করবি তো!”