জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিশ্ব অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করলেও এখনও কিছু কিছু নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা মানব সমাজকে পীড়া দেয়। এর একটি হচ্ছে নারী নির্যাতন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকাংশই নারী এবং সমাজের উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তারপরেও সাধারণভাবে তারা শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকারের দিক থেকে এখনও পুরুষের সমকক্ষ নয়। পৃথিবীর অনেক অংশে সাধারণ পারিবারিক রীতি অনুযায়ী পুরুষরাই সংসারের অধিকাংশ সম্পত্তির মালিকানা ভোগ করেন।
এটি পরিবারের মধ্যে ক্ষমতার বৈষম্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে উঠতে পারে। লিঙ্গ বৈষম্যের নিষ্ঠুরতম রূপের একটি হলো নারীদের উপর দৈহিক অত্যাচার। কেবল অপেক্ষাকৃত দরিদ্র বা অনুন্নত আর্থিক সমাজেই নয়, সমৃদ্ধ ও আধুনিক সমাজেও এই হিংসার ঘটনা বেশ দেখতে পাওয়া যায়। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের দরিদ্র জনগণের ৭০ শতাংশই নারী এবং মাত্র এক শতাংশ নারীর নিজস্ব মালিকানায় সম্পত্তি আছে। এ প্রতিবেদনটিই প্রমাণ করে যে, নারীরা কোনভাবেই পুরুষের সমানাধিকার পাচ্ছে না।
এছাড়া দুঃখজনকভাবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। বস্তুত, খুবই সমৃদ্ধ ও অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত দেশগুলিতে নারী নিগ্রহের ঘটনা আশ্চর্যজনকভাবে বেশি। কিছু সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে যে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতি বছরে ১৫ লক্ষ ধর্ষণ ও নারীদের উপর শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটে থাকে।