রাতের এঁটো বাসন কটা মেজে, আমি আসছি!! কৈগ শুনছ, ওর মুখটা কেন জানিনা
ফ্যাকাশে!! ছেলে, মেয়ে গুলো ঘুমিয়েছে?? এক কোনে শুয়ে “তোমায় অফিসে কি কিছু হয়েছে” ১
বার ২ বার ৩ বার! উত্তর আসেনি!! ওঃ ঘুমিয়ে পড়েছে, ঘড়ির কাঁটা যেন আর থামেনা!! উঠে পর ৫টা
বাজে স্কুল আছে বাবা দিয়ে আসবে, আজ আমি পারবো না!! তুমি দিয়ে এস, অগোছালো শাড়ী
এলোমেলো চুলে বেরিয়ে পরা, পাড়ার কিছু উন্মত্ত যুবক বলে “বাঃ হেভি আইটেম” মোড়ের চায়ের
দোকানে বসে থাকা সমাজে পরিচিত ভদ্র লোকে কয় “বড্ড বেপরোয়া” তারাই আবার বলে “ভালো
আছো বৌমা” একগাল হাঁসি রেখে মাথা নাড়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই! বাড়ীতে ফিরে দরজাটা
বন্ধ তালা দেওয়া!! ” তুমি কি বেরিয়েগেছ??” রান্না সেড়ে কাপড় কেচে স্নান সেরে, ছাদে যখন- রাতের
বিছানার চাদর টা, রাতে শোয়ার জামাটা মিলতে যাই, পাশ থেকে বলে ওঠে এখনো এত সোহাগ!! কিছু
বলে ওঠার আগেই , নীচের দিকে চোখ- ছেলে মেয়ে গুলো ফিরলো!! কিসের সোহাগ কেন সোহাগ !!
সব বুঝে ওঠার আগেই “মা আজ কি রাতে মটন হবে” তোর বাবা তো ফোন করল না!! বিসি টোন
১,২,৩, নয় টানা৩৬ বার!! বাসন মেজে রাতে ফ্যান টা গালতে গিয়ে পা টা ও পুড়লো !! রাত বেশ ওরা
খেতে পারে, আমি আছি জেগে, রাতের আকাশে এত সোহাগ দেখিনি তো কোনোদিন!! রজনীর গন্ধে
জ্যোৎস্নার অলোয় ওর নিথর দেহটা যখন কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখতে চেয়ে ছিলাম, ছুঁতে দেয়নি তারা
যারা সকালে বেপরোয়া বলেছিল, ছুঁতে দেয়নি সে যে দুপুরে ছাদে দাঁড়িয়ে বলেছিল সোহাগের কথা!!
হাড়িয়ে গেলাম আমি, তবুও বেঁচে আছি বাঁচার মত করে!! ৩৬ শেই শান্ত হয়েছিল কঠোর সোহাগ,
আর আজ ৬৩ তে,একটা কথা বলব “তুমি বেশ সুখে আছো তো”!!