তুমি আমাকে কিভাবে চেনো?
নারী হিসেবে? ধুর!
সে অস্তিত্ব তো কবেই হারিয়েছি।
তুমি চেনো আমায় লোভাতুর চোখে,
তোমার পৌরুষের মল্লভূমি আমি।
তোমার উল্লাস আমার শীৎকারে
অথচ, বড়ো নিশ্চল তুমি আমার চিৎকারে।
কর্ণ থেকে কংস, রাবণ থেকে বাছাধন
আমার এলোচুলে সদা উদ্যত তোমার হাত,
চুপ করাতে হবে না আমায়?
বাঁজা, বাজারির তকমা? গা সওয়া হয়ে গেছে।
গার্হস্থ্য হিংসার শিকার আমি।
ভাবতে অবাক লাগে, বড় অবাক লাগে!
আমার শত্রু অনেক-
গর্ভধারিণী থেকে কটূভাষিণী
সৃষ্টিকর্তা থেকে সম্ভোগ কর্তা।
নির্যাতিত আমি নানা রূপে, নানা ভাবে,
কেউ কখনো মানুষ ভাবেনি।
কোথাও পৌরুষের ফল
কোথাও বা পৌরুষের কারণ।
সংসারে তো আমি সর্বংসহা!
কখনো আমি শুচি, কখনো অশুচি,
কখনো বা আমি ঢাকের বাঁয়া।
চরম অস্তিত্ব সংকট আমার
স্বনির্ভর হয়েও চরম সংকটে।
কেমনে করব পার- ভব বৈতরণী এবার?
Related Posts
অনন্ত প্রতীক্ষায় এখনাে প্রহর গুনি
Leave a Comment
/ অবস্থা ব্যতিক্রম নয়, কবিতা / January 5, 2019 January 5, 2019 / By
sahitya patrika