সৌপ্তিক
‘সৌপ্তিক’ বিংশতি বর্ষ অষ্টাদশ সংখ্যা (ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সৃজনশীল সাহিত্য পত্রিকাটি হাতে এসে পৌঁছেছে। ছিমছাম সুন্দর পত্রিকাটির লেখা নির্বাচনে যথেষ্টই সুরুচির পরিচয় আছে। কবি সুধীর দত্তের কবিতা দিয়ে পত্রিকাটির পাঠযাত্রা শুরু: “দরজা খোলা, শব্দরা সব বে-বাক, তারা/ অর্থহারা…/ কী বলি, কী! বলার মতো/ না ভাষা, না বলার কিছু, কেবল উড়ান, কেবল উড়ান, উড়ান শুধু”। বে-বাক শব্দের কাছে সব সময় অর্থ নয়, এক গতিময় উড়ানের বহুমুখী উল্লাস বিরাজ করছে। এভাবেই একে একে কবিদের জগতে বিরাজ করছেন: শুভ দাশগুপ্ত, অজিত বাইরী, রূপক চট্টরাজ, পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রামচন্দ্র পাল, মৃণালকান্তি দাশ, দেবেশ ঠাকুর, অভীক বসু, জয়নাল আবেদিন, আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়, জাগরী মুখোপাধ্যায়, স্বপ্ননীল রুদ্র, কনক ঠাকুর, পরেশ চক্রবর্তী প্রমুখ বহু কবি। হান্নান আহসান লিখেছেন: “ভাসতে ভাসতে মেঘের তুলো/ মাথার উপর যখন থামে/ ঠিক তখনই আহ্লাদিত—/ পত্র লিখি সফেদ খামে।” তখনই সেই নিসর্গের ঠিকানার খোঁজ করতে হয়। শঙ্খশুভ্র পাত্র, চৈতন্য দাশ, উৎপল ধারা, আশিস গিরি বহু কবিই মন ভরিয়ে দিয়েছেন। আনসার উদ্দিন ছোটগল্প লিখেছেন ভারি মজার। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ, মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদুলাল কুণ্ডু, দেবাশিস দণ্ড, কাকলি ভট্টাচার্য মৈত্রের গল্পগুলিতেও হৃদয় স্পর্শ করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভাষা আন্দোলন নিয়ে গদ্য লিখেছেন সাগর রশিদ। আবৃত্তির বিষয়-আশয় নিয়ে লিখেছেন সুকুমার ঘোষ। ধনঞ্জয় ঘোষাল লিখেছেন মজার শ্রুতিনাটক। সব মিলিয়েই ছোটদের পত্রিকাটি বড়দেরও আকৃষ্ট করবে। ইতিহাস রূপকথা কল্পনা ও বাস্তবতার বুননে মননশীল পত্রিকাটি অবশ্যই সংগ্রহযোগ্য।
যোগাযোগ: পার্থসারথি চৌধুরী, বেথুয়াডহরি, নদীয়া- ৭৪১১২৬, চলভাষ: ৯৫৯৩৩৩৩৩৩৭, মূল্য ৭০ টাকা।
তৈমুর খান
