ওরে ওই নতুনের কেতন ওড়ে, বৈশাখেরই আগমনী গান
ঝাঁঝর কাঁসর সাঁক আর ঢাক ঢোলকে জুড়ায় সবার প্রাণ।
বেলা অবেলায় রোদে-মেঘে আলো আঁধারের খেলা
দেশের সারা বাটে, রমনা বটমূলে মনকাড়ে বৈশাখী মেলা।
আহা! বৈশাখেতে হারে রে রে তাই রে নাই রে নাই,
বাঙালিরা নববর্ষে মাতি বাসন-খোরায় পান্তা ইলিশ খাই।
বাংলার ফুল- ফল, আকাশ-মাটি, জল-সমুদ্র- হাওয়া,
মিলেমিশে একাকার সবে আনন্দস্রোতে হারিয়ে যাওয়া।
পহেলা বৈশাখে নব-দিনে মুড়ি মুড়কি মন্ডা মিঠাই খাওয়া
এ যেন বাঁধন হারার আকাশ পানে পঙ্খী হতে চাওয়া।
শোনরে সোনার ছেলে সোনার মেয়ে আয়রে ছুটে আয়,
সবাই দলবেঁধে চল যাই বৈশাখী মেলায় বেলা বয়ে যায়।
প্রতিটি পহেলা বৈশাখে মোদের এইনা সোনার বাংলাদেশে
মধু ক্ষণে হাসি-খুশির বিস্ফোরণে নববর্ষ আসে পঙ্খীরাজে ভেসে।
দেশবাসী নব-বসনে হালখাতায় রংআবিরে বেনীআসহকলায় ভাসে,
নৃত্য-ছন্দ, মঞ্চনাটক, পুঁথিগীতি, গানের আসর মঞ্চে মঞ্চে হাসে।
পহেলা বৈশাখে ফুল স্পর্শে হয় কপোত-কপোতীর প্রেম লেনদেন,
কবিতায় চিরভাস্বর মধু-রবি-নজরুল, জীবনানন্দের বনলতা সেন।
ভোজেশ্বর, নড়িয়া, শরীয়তপুর।