অসময়ে বৃষ্টি হলে/ সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
ইতর পাখিটা ডাকে– কুহু কুহু স্বরে
দাদুরি ডাকে সিংহের মতন
বৃষ্টি ঝরে না আর
আবহাওয়া অফিসের আগামবার্তা
সফল
অফিস যাত্রী—স্কূল পড়ুয়ারা
ব্যস্ত আপন আপন কাজের চাপে
গ্রাম মেতেছে শহুরে সভ্যতায়
গ্রাম্য বধূ ভিজে কাপড়গুলো
রোদে দিচ্ছে মেলে
ঝরাপাতার রোষে রাস্তা যখন বেসামাল।
রামধনু উঠবে আকাশের কোনে
চাষীরা যাবে মাঠে ক্ষেতের পরিচর্যায়
সব্জি বিক্রেতারা বসবে হাটে
হাঁকবে দর বেশি করে
ক্রেতারা অবাক বিস্ময়ে প্রহরে প্রহরে
দিনে তারা গুনবে
অর্ণব সঞ্জীব বাড়ি ফিরবে— আশায়
মায়ের মন শান্তি পাবে।
বৃষ্টিতে খসে পড়া বাবুই পাখির বাসাটা
তখন জোরালো বাতাসে ভেসে বেড়াবে
ফিরে পাবেনা তার পুরনো ঠিকানা।
কানা নদীর পাড়ে বসে দেখি
হাঁসগুলো খোঁজে গেড়ি গুগলি
আর
ডুবুরিরা জলে নেমে ধরে
মাছেদের ছেলে পুলে
বৃষ্টি থেমেছে।
ছুটছে কুকুরের দল
গরুগুলো খাচ্ছে সবুজ ঘাস
জোঁক কেঁচো গুলো মাটি ফুঁড়ে
উঠে আসছে ডাঙ্গায়
সোনালী রোদে ঝলসে উঠছে
সারা গা
আমি নদী তীরে বসে একা
একা দেখছি
প্রকৃতির অমোঘ বাস্তবতা।।
.
.
.
আর একবার সুযোগ দাও/ সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
দেখো যুথিকা, আর একবার
অন্তঃত আর একবার আমায়
সুযোগ দাও।
যদি সুযোগ পাই
তোমার আকাশে শুকতারা হয়ে
জ্বলবো
সুগন্ধে ভরিয়ে দেব তোমার দেহ, মন
ভালোবাসায় সবুজ হব
সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে হোক
তোমাকে এক আকাশ
বৃষ্টির আশ্বাস দেবে
— কথা দিলাম।
বড় দুঃখ দহনের ক্ষণে
তুমি আর একবার অন্তত ং
সুযোগ দাও
পৃথিবীটা শান্ত হোক।
.
.
.