অভাব টা শুধু অর্থের হয় না অনেক সময়ে মনের মধ্যে যে অভাবের সূচনা হয় সেটা প্রচুর অর্থের জোরেও পূরণ করা যায় না। ভালোবাসা নামক একটা দিক দিশা হীন যুক্তির উর্ধে যে বিষয়টা রয়েছে সেটার সাথে আলাপচারিতা কোনো মতেই সুবিধেজনক যে হয় না সেটা ভালোই বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্র পড়লে। আর শুধু পড়ে কেনো বাস্তবের খুঁটিনাটি অভিজ্ঞতা থেকে বন্ধু পরিজনের কতজন আছে বলুন তো! যাদের ভালোবাসার শুরু থেকে শেষ একটাই গল্প সুখের গল্প! সংখ্যা টা একশো তে দুই।
সেই সবার মুখে মুখে কথায় কথায় কথা উঠলেই শোনা যাচ্ছে খুব ভালোবাসতাম, ও বুঝলো না, বাড়ি মেনে নিলো না, আমাকে ছেড়ে দিলো এই ওই মানে সেই আঘাত থেকে ব্যাঘাত জীবনের গল্পে মাস্ট। সেখানে একাধিক আঘাতের অভিজ্ঞতার মানুষের সংখ্যাও বিরল নয় বলতে গেলে অনেকই আছে। এই যেমন যে কলম ধরেছেন তিনিও একজন হ্যাঁ মানে আমিই।
অ্যানজেল বা অবতার সবসময়ই রূপকথার গল্পে ভালো করতেই আসে, ইচ্ছে পূরণ করতে আসে যেমন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের তিনটি বড়! আর আমারও সেই রূপকথার গল্পে বিভোর হয়ে নিজেদের প্রিয় মানুষটাকে জিন কিংবা অ্যানজেল ভেবে বেজায় সুখে ভাসতে থাকি। কিন্তু জীবনটা যে রূপকথা নয় বন্ধু! আর জীবন মানে জি বাংলাও নয় যে ইচ্ছে মতন রিমোট টিপে পরিস্থিতি বদলে ফেলবো।
তাই আমাদের এক মুখের ইচ্ছে সেই অ্যানজেল পূরণ করতেই পারে না, কারণ সেও তো আপনাকেই অ্যানজেল ভেবে একই ভুল করে বসে আছে। সম্পর্কে সমানুপাতিক বলে কিছু হয় না মশাই যা হয় ব্যস্তানুপাতিক অর্থাৎ যতো ইচ্ছে পূরণ সেটা সমান তালে নয় সেটা একে একে অল্প অল্প করে। কিন্তু আমরা তো ভালোবাসা মানে বুঝি ইচ্ছে পূরণ নিজের ইচ্ছের অধিকার ফলন! অ্যানজেল হয়েছো আর কোনো আধ্যাত্মিক ক্ষমতায় তুমি আমার মন বুঝবে না, তুমি আমার ইচ্ছে না বলতে বলতেই পূরণ করবে না, তুমি শুধু শুনবে কিছুই বলবে না, আমার দাবী পূরণ করবে তোমার দাবিদার হওয়ার দরকার পড়বে না তাই কখনো কি হয়!.
কিন্তু মুশকিল দুই দিক থেকেই এই অ্যানজেল ফিলিং খুব মারাত্নক ভয়াবহ রূপ নেবে আর ফুস মানে শেষ হবে।
ভালোবাসার মানুষটাকে অ্যানজেল ভেবে তাকে ভালোবাসতে কোনো খারাপ নেই, খারাপ তাকে মানুষ না ভেবে দেবদূত ভেবে বসে থাকাটাতে, হ্যাঁ ভালোবাসা মানে ত্যাগ ভালোবাসা মানে মানিয়ে নেওয়ার চরম ক্ষমতা এই সব বাস্তব জীবনে হয় না গো, হয় না।
হয় কোথায় ?গল্পে বিনোদনে। কারণ আমরা বাস্তবে কিছু করতে না পেরে এই গল্প গুজবে বিনোদন করে নিজেদেরকেই বোকা বানানোর চেষ্টা করে চলি। আর শেষ মেষ হাতের পাঁচ আঙুল থেকে অ্যানজেল ফুরুত করে উড়ে যায়। তাই ভালোবাসার মানুষটাকে অ্যানজেল ভেবে লাভ কি! মানুষ ভাবুন তাতে হোক না একটু কষ্ট করতে দুই পক্ষ কেই ।অন্তত একসাথে থাকা যাবে ভালোবাসা যাবে। ভালোবাসা মানে জাদু নয় ওটাও একটা সাধারণ মানসিক বৈশিষ্ট্য ফাঁকাই ওটাকে আধ্যাত্মিক করে হাতের নাগালের বাইরে নিয়ে গেলেই যতো বিপত্তি।
.
.
.
.