.
প্রায় অনেক বছর আগে এক নির্জন দুপুরে টোকা মেরেছিল কেউ। দরজা খুলে দেখি কলোহাস্যে অপেক্ষারত অবমাননা। করতালিতে নতজানু ছিল আমার অদৃশ্য কান্না আর ভৎসনা।আমার এই কষ্টে কারুর কোনো আক্ষেপ ছিল না।তখনই আমার হৃদয়ে লাগে কবিতার পরশ। আমার অজ্ঞাত অনুভূতির প্রকাশক ছিল কবিতা। যখন আমি প্রকৃতি নিয়ে কাব্যালাভে বিভোর তখন দুঃসাহসের কৌতূহল দেখালো তারা। শীতলতার শিকার হয়ে সাহসের উষ্ণতাকে জাগানোর অমিত শক্তিও আমার ছিল না। শুধু ছিল উপেক্ষা…….
.
তারপর একদিন দেখা হলো সে নারীর সাথে।তার দৃষ্টিতে মিশ্রিত ছিল সম্ভাবনার এক আশ্চর্য আবেগ। আর এটাই ছিল আমার সবচেয়ে মূল্যবান উপহার।তাকেই বলতাম আমার সব কথা।তার হৃদয়ে আছে লাবণ্যময় কষ্ট…আমি বুঝি তা।তার অতীতে ছিলো কিছু স্বপ্ন কিছু আশা। হয়তো তার অতীতেও ছিল কোনো রাবীন্দ্রিক প্রেম।সে সব আমি কোনোদিনও জানতে চাইনি আর চাইও না।শুধু এটুকু জানি আজ তিনি বড়োই একা।
.
হয়তো হয়েছি আমি দোষের দুষ্টে দোষী..তবুও তার ক্ষমাশীল হৃদয় ক্ষমা করে দিয়েছে আমাকে।তাই তো তিনি আমার কুন্দনিকা। কিন্তু যখন এই ভিটে মাটি ছেড়ে চলে যাবো বহুদূরে তখনও কি এই সাদা কালো সমাজে আমার ভালোবাসার এই নিবিড় বুনট হৃদয়ের বিবর্ণ ক্যানভাসে বিদ্যুৎ চকিতের মতো বোবা শিহরণের আভাস তুলবে????
সময়ই তার জবাব দেবে…….
.
Related Posts
সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায় মেটাফোর থেকে মেটাফিজিকস্ // তৈমুর খান
Leave a Comment
/ গদ্য, পরোক্ষ উপমা ব্যবহার করে আসছে / June 8, 2019 June 8, 2019 / By
sahitya patrika
জীবনরসিক আব্দুল হান্নান আজও সকলের কাছে অচেনা // তৈমুর খান
Leave a Comment
/ গদ্য, প্রান্তিক জীবন ও মধ্যবিত্ত / June 17, 2019 June 17, 2019 / By
sahitya patrika
স্মৃতির স্বরলিপিতে এখনও বেঁচে আছেন আব্দুল্লাহ মোল্লা // তৈমুর খান
Leave a Comment
/ গদ্য, জীবনের সামগ্রিক পরিস্থিতি / June 20, 2019 June 20, 2019 / By
sahitya patrika