.
শত রঙের স্বপ্নের জাল বুঁনছে দুচোখ।
সেই রঙ বাহারী কৃষ্ণচূড়ার গাছটা,
আর হাতে একগোছা রেশমী কাঁচের চুড়ি।
বাসন্তী রঙের অগোছালো তাঁতের শাড়ী।
.
নেহাৎ জলরঙে আঁকা ছিল কিছু জুঁইফুল।
বসন্তের প্রথম প্রহরে একগুচ্ছে হলুদ গাঁদা।
আর শ্রীময়ীর নব সাজে ফাল্গুনের আয়োজন।
রূপরেখা নাকি নীলাঞ্জনার সুনিপুণ কারুকার্য
কালির আঁচরে যেন ফুটন্ত প্রিয়দর্শিনী।
লজ্জারাঙা বদনপানে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান।
কুহেলিকার আবরণে ঢেকেরয় প্রাত:কাল,
অস্তিত্ব জুড়ে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি।
হৃদমাঝে কম্পিত হচ্ছে অজানা তরঙ্গ,
দক্ষিণা বাতাসে ভেসে আসে মাতাল সুরধ্বনি,
আবীর রাঙা প্রিয়ন্তিনী ফাগুন এলো বুঝি।
.
মৌ সাহা
বাংলাদেশ।
.