গরম চা তে হালকা চুমুক দিয়ে খবরের কাগজ টা খুললেন বটুক বাবু। পুরো নাম বটুক বিহারি দত্ত। মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে প্রাইভেট টিউশনি করান। আসলে বলা যেতে পারে তার গ্রামের একমাত্র শিক্ষিত লোক তিনি ই, কলকাতা থেকে পড়াশোনা করেছেন। অনেক ভালো চাকরি ছেড়ে গ্রামে গিয়ে গ্রামে র ছেলে মেয়ে দের স্বল্প বেতনে পড়াশোনা শেখান।
পান্জাবির পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট টা বাড় করে একটা সিগারেট ধরাতেই দরজায় কড়া নারার আওয়াজ। “আসছি” বলে খুলতে গেলেন বটুক বাবু। পাশের গ্রামের ‘বখাটে’ চঞ্চল কে দেখে খানিকটা অবাক হয়েই বললেন “কি ব্যাপার? “। এই চঞ্চল কিন্তু অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং পড়াশোনা তেও অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। একদা এই চঞ্চল পাড়ায় জুয়া খেলে চায়ের দোকানে আড্ডা মেরে সময় কাটাতো। বয়স আন্দাজ ২২ বা ২৩ হবে।
ৎবটুক বাবুর চোখে পড়ে খানিকটা বাধ্য হয়েই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসে চঞ্চল। দরজার বাইরে থেকে একটা কাগজ মাস্টার দাকে(বটুক বাবু কে চঞ্চল মাষ্টার দা বলে ডাকতো) দিয়ে ই হাউমাউ করে কেদে ফেলল চঞ্চল। পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করতে যেতেই আটকালেন বটুক বাবু। “আরে ওই বোকা তুই প্রথম আইএএস হবি রে এই গ্রামের, কাদছিস কেন! যা গিয়ে এক হাড়ি চমচম নিয়ে আয়” পকেট থেকে ১০০টাকা বার করে দিয়ে বললেন বটুক বাবু। চঞ্চল এক দৌড়ে চলল। চোখের কোনায় জল নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন বটুক বাবুু