.
.
ছোট্ট একটা ব্যাগে একটা ফুলকপি ও গুটিকয়েক লঙ্কা নিয়ে পাশের ভোলার দোকানে চায়ের অর্ডার দিলাম।
বেঞ্চের পাশে একটা বস্তার উপর ব্যাগ রেখে ডানদিকে তাকিয়ে দেখি বিপুল।
ও আমাকে দেখছিল।
“আরে ! “
.
তারপর কিছুক্ষণ গল্প করে ও বস্তার উপরে রাখা ওর ব্যাগটা
নিয়ে হাঁটা লাগালো। যাওয়ার সময় বললে,”আসি গো”।
“আয়,দেখা হবে।”
বাড়ি এলাম। ব্যাগটা যথাস্থানে রেখে কাজ সারছি। রান্নাঘরে ঢুকে দিদি থলে খুলে বললে,
“কিরে, বললাম ফুলকপি আনতে,আনলি ট্যাংরা মাছ !”
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে বললাম,
“মানে ?”.
.
রান্নাঘরে ঢুকে দেখি,সত্যিই তাই। কিছুক্ষণ হতবিহ্বল হয়ে ভাবলাম, এবং বুঝলাম। ভোলার বস্তার উপরে মনে হয়
অমনই আরেকটি ব্যাগ দেখেছি!
দিদি বললে,”তাহলে দিয়ে আয়।”
“না থাক, সারপ্রাইজ দেব। তুমি বরং পেঁয়াজ বেগুন দিয়ে
ট্যাংরা মাছের কষা কর। বেশি ঝাল দিতে হবে না। ওর ছেলে
খাবে।”
“ছেলে !”.
.
বাটিতে ঢাকনা দেওয়া ট্যাংরা
মাছের গন্ধ শুঁকতে ধুঁকতে
মাত্র বিপুলের উঠোনে পা রেখেছি, শুনছি বিপুলের বৌ
বলছে, “তখন থেকে বলছি যাও যাও,খেতে বসে যাবে।”
দরজার বাইরে দুজনে মুখোমুখি হতেই বললাম,”কিরে,খেতে বসিসনি
তো?”
বিপুল হাতে ফুলকপির রসা নিয়ে হাঁ করে তাকিয়ে আছে।
আমি বললাম, “নে বদল কর।”
.
.