অনেক দিন ধরেই
ঘর খুঁজছিল মেয়েটা।
সেই কিশোরী বেলা থেকেই।
জ্ঞান হয়ে থেকেই শুনছিল-
সে নাকি পোড়ামুখী।
কিন্তু,কিছুতেই বোধগম্য হতো না!
জামা, জুতো থেকে ঘড়ি,ফোন
এমনকি মাছের মুড়োটা পর্যন্ত,
সবকিছুতেই বংশধরের অধিকার।
তাহলে সে কে?
ওকি কেবলই রাতের ভুল?
কিন্তু কেউ তো দিব্যি দেয়নি,
ওকে দিনের আলো দেখাতে!
অপমানে,ক্ষোভে ঘৃণায়-
একটা ঘর খুঁজছিল মেয়েটা।
আবারও ভুল করেছিল সে
স্বামীর ঘরটাকে নিজের ঘর ভেবে।
‘আমার স্বামীর ট্যাকায় তৈরি বাড়ি
তোকে কি আমি থোড়াই পরোয়া করি’।
তাল কেটে গিয়েছিল মেয়েটার,
দজ্জাল শাশুড়ির
মধুর উবাচ শুনে।
খুব জোর ধরেছিল মেয়েটা,
একটা নিজের বাড়ির জন্য।
একান্তই,নিজের বাড়ি
ভালোলাগার,ভালোবাসার বাড়ি।
কিন্তু,কংক্রিটের এই জঙ্গলে-
কাজটা শক্ত,ভীষণ শক্ত আজ।
বড্ড জেদী একরোখা ঐ মেয়েটা,
মাথার ঘাম পায়ে ফ্যালে রোজ।
একটা নিজের বাড়ির জন্যে।
যেখানে রোজ রোজ সত্যি হবে
নারী মুক্তি, নারী স্বাধীনতা।
গার্হস্থ্য হিংসার রবে না কোনো স্থান
সেটাই ওর বাড়ি-
একুশ শতকের নারীর বাড়ি।
Related Posts
অনন্ত প্রতীক্ষায় এখনাে প্রহর গুনি
Leave a Comment
/ অবস্থা ব্যতিক্রম নয়, কবিতা / January 5, 2019 January 5, 2019 / By
sahitya patrika