বিশ্বকর্মা : সুব্রত মজুমদার

বিশ্বকর্মা : সুব্রত মজুমদার

সভ্যতার সুপ্তি যবে কালের প্রকোষ্ঠে লয় করে যত পুরাতনে
সে সুপ্তির মাঝে হাজারো যন্ত্রের ঝনঝন উঠিল সঘনে।
মহাকাল রথচক্র ঘুরে ওঠে নবীন সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায়,
মেতে ওঠে বিশ্বকর্মা বিশ্বের নির্মাণে। তার তুলিকায়
রং মিশে চিত্রপট আঁকে, নতুন নতুন সব বিচিত্র ইজেলে।
নতুন এ জগতের নবীন নির্মানে হাতের যন্ত্রসব কলরব তোলে।
খেটে চলে অগণিত স্থপতির দল নব আকাঙ্ক্ষায়, নবীন উদ্যমে।
হর্ম্য ওঠে ফুঁড়ে নীলাকাশ; তোমার পতাকাতলে গিয়ে তারা থামে।
এ সৃষ্টি তো নয় ছেলেখেলা, এ সৃষ্টি খেলা তীক্ষ্ণ মগজের,
মন আছে জুড়ে তার সাথে। তবু ছুটি সব অকাজের।
সৃষ্টির চক্রের তলে মাটি পরিণত হয় মৃণ্ময় ফসলে,
মৃৎপাত্র তোলে সে ফসল, – শতচক্র যেন যাদুবলে
নিয়ে যায় দূরে বহুদূরে।
অজানা নক্ষত্রলোকে, অজানা সে সভ্যতার পরে।
যতদিন সভ্যতার শেষচিহ্নটুকু রয়ে যাবে এ ধরার বুকে
ততদিন রবে তুমি , রবে তব পদচিহ্ন নীরবে, – ভগ্ন কোনও দেবালয়স্তুপে। 

Leave a Reply