বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি এই বৃষ্টিকে নিয়ে সকলে অতিষ্ঠ।গত চারদিন ধরে অবিশ্রান্ত হয়ে ঝরে পড়েছে এই বারি ধারা।সারা শহর প্রায় জলমগ্ন,রাস্তাঘাট যেন প্রবাহিনীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মনুষ্য সমাজ ও একে অপরের প্রতিযোগী।কে কাকে ছাপিয়ে জীবনে বড়ো হতে পারবে তারই লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে সকলে জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়।সত্যিই এই প্রতিযোগীতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে মনুষ্য সমাজ জীবনের মাহাত্ম্যটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হতো।
শুধু কি মনুষ্য সমাজে এই পাল্লা দেওয়ার মানসিকতা রয়েছে ? তা নয় ।যখন একমুঠো খাদ্যশস্য ক্ষুধার্ত পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তখন পাখিদের মধ্যেও প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় কে কত বেশি আয়ত্ত করতে পারে।এই ভাবেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় মনুষ্য সহ গোটা প্রকৃতি।এই বর্ষণ ধারা হয়তো সূর্যের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।বর্ষায় প্রকৃতি নবরূপে সেজে ওঠে।
গ্রীষ্মের দাবদাহে শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলি বর্ষা রানীর কোমল ও স্নেহ মাখা স্পর্শে পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।প্রতেকটি ব্যক্তির জীবনে গ্রীষ্মের মতো শুস্ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েই থাকে কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তির আগমন সেই ব্যক্তির রুক্ষতাকে দূরে সরিয়ে ওই ব্যক্তির জীবনে নিয়ে আসে চির বসন্তের মতো উচ্ছাস্,আনন্দ,প্রানচঞ্চলতা।তাই ব্যক্তিটির কন্ঠে ধ্বনিত হয় ” তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো, ছেড়ে দেবো না”। কিন্তু ব্যক্তিটির অনুপস্থিতি সে ভালোমতো ই অনুভব করে যেরূপ এই প্রকৃতি বর্ষাা রানীকে miss করে।সত্যিই পাওয়া – না পাওয়া এটা নিয়েই জীবন।
বর্ষার আকাশ কখনও কালো ,কখনও সাদা আবার অনেক সময় গাঢ় কালো অন্ধকার হয়ে নেমে আসে তখন মনে হয় অসময়ে অন্ধকার নামল।প্রকৃতির সাথে মানুষের সাদৃশ্য চোখে পড়ার মতো ।ব্যক্তির মনের আকাশেও মেঘের বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়
রবীন্দ্রনাথের গানটি খুব প্রাসঙ্গিক ” কেন মেঘ আসে এই হৃদয় আকাশে ?” কিছু কিছু গান আমাদের ভাবাবেগকে আন্দোলিত করে তোলে।
বর্ষাকালে নদী তার ব্যহিক রূপ পূর্বের তুলনায় সুগঠিত , সুসজ্জিত করে তোলে।একটি মেয়ের কৈশোরকালের শারিরীক গঠনের তুলনায় তার যৌবনকালে তার সৌন্দর্য, শারিরীক চাহিদা,আগ্রহ সবকিছুই বৃদ্ধি পায় তদরূপ নদী সারাবছর স্বাভাবিক গতিতে প্রবাহিত হয় কিন্তু বর্ষাকালে সে তার যৌবনতা ,প্রানচঞ্চলতা,উচ্ছ্বাস্ ফিরে পায়।
বর্ষাকালটি অনেকাংশে সৃষ্টির এক মাধ্যম ।নতুন বৃক্ষরোপন,চাষাবাদ,মৎস্য চাষ সবকিছুর প্রাধ্যান্য লক্ষ্য করা যায়।এই সময়ে ময়ূরী পেখম তুলে নাচে, মনোবৈঙ্গানিক
Freud বলেছেন নাচের মাধ্যমে ময়ূরী তার sexual urge টির প্রকাশ ঘটায় যা সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়।কি বিস্ময়কর অবদান ! রয়েছে সৃষ্টি কর্তার।তাই ভারতীয় সংস্কৃতিতে বলা হয়েছে ” ন দেবো বিদ্যতে কাষ্ঠে নঃ পাষানে নঃ মৃন্ময়ে। ভাবে হি বিদ্যয়তে দেবস্তমাদ ভাবৌ হি কারনম