ভায়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দোয়ারে পড়ল কাঁটা,
যমুনা দেয় যম কে ফোঁটা ।
চিরনশ্বর এ জগতে ভায়ের দীর্ঘায়ু
ও মঙ্গল কামনার এ উৎসব ।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের
এ এক অঙ্গ বটে।
খুনসুটি আর ঝগড়া ঝাঁটি ভাই ,
বোনেতে হয় বৈকি!
এ সবেরই পূর্ণছেদ টানে ভাইফোঁটা
নামক অনুষ্ঠানটি ।
ছোট্ট কিশোরীও পরে শাড়ি ,
ভায়ের সাথে করবে না আর আড়ি ।
ভাইও একটু হয়েছে বড়, বোনের দায়িত্ব
নেবে বৈকি!
কিছু বছর আগেও ছিল এর ঘনঘটা,
নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির পড়েনি তখনও ছটা ।
আজও অবশ্য ভাইফোঁটা হয় ,
তুতো ভাইবোনেতেই কাজ চলে যায় ।
ভবিষ্যতের ভার ভবিষ্যতই নিক ,
আমরা বরঞ্চ একটু সামনে তাকাই ।
ফেমিনিস্টরা অবশ্য হচ্ছে সরব –
বোন ফোঁটা নিয়ে কবে করব গরব ?
ভিন্নমত কোনো চাপের নয়,
সুস্থ চেতনার লক্ষণ বৈ , আর কিছু নয় ।
ভাবতে বড় কষ্ট লাগে, অতীতের
স্মৃতি যখন মনে জাগে ,
বোনের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে,
ভাই যে দিল তাজা প্রাণ!
সমাজ কবে সুস্থ হবে – নারী
সুরক্ষা হবে সবার আগে?
উল্টো ছবিও বেশ ভয়াবহ,
অনার কিলিং এর ছায়াও যে দীর্ঘতর ।
বাঁচাতে গিয়ে পরিবারের মান ,
ভায়ের হাতে বোন যে দিল প্রাণ !
তার চেয়ে ঠাকুর তুমি হালটা ধরো ,
চন্দনের ফোঁটায় চেতনা ভরো ,
সমান হোক সমানাধিকার,
ভাই আর বোন – এছাড়া আবার কার ?