যতই জোরে ছুটুক নাতি-ঘরের প্রতি আছে টান
কম ছুটেও দাদু শোনে, এই যে দাদু সাবধান।
নাতি দাদুর ভক্ত চরম ভাজলে লুচি গরম গরম
এক দৌড়ে এনে কাছে খাওগো দাদু এইটে নরম।
দাদু নাতির এমনতর ভাবছিল আজ নেই যে আর,
মা বাবা সুখ কিনতে গিয়ে দাদুরা আজ পগারপার
কোন সে দূরে দৈত্য দানো কোন সে কোণে বৃদ্ধাবাস
চোখের জলে বাপ লিখে পুজোর দিনে বাড়ী যাস।
সৌখিন ফ্লাট নয় যে ভাল, নয়কো ভাল বৃদ্ধাশ্রম
ফাঁকফোকরে বেড়ায় ঘুরে অর্থপিশাচ হরেক যম
নাইবা থাকুক ব্যালকনি,তোর নাথাকুক কলিংবেল। তবু জানিস আছে আজ শাল পিয়াল কয়েত বেল।
শাপলা শালুক আজও দোলে পদ্মদিঘি ঐ জলায়
সাঁঝসকালে মানুষ জমে ধর্মরাজের আটচালায়
আবাদ বিবাদ সুবাদেতে পোক্ত তারা ঐ ওখানে
দোয়েলশ্যামার সুর কি খোকা ভাসে তোরকানে?
বাগুলে বলে বাগাল ছিল ঠিক যেন তোর বয়েসি
বাগাল ফোটা কপালেএঁকে দিত প্রমাণ সে সাহসি
বুধি নামেগাইটা কি আর আছে দাঁড়িয়ে ছানিচালায়
সময় পেলে পুঁটে খুলে আজও দৌড়ে তেমনিপালায়
আয় মাঠের বড়জমিটা ফ্লাট কেনার সেই বছরে
কাদের যেন বেচে দিলি জলের মত কম যে দরে।
মেটেলের বাঁকুড়িটা নিশ্চয় আজ হাবলা তাঁতির
জোয়াল ভাঙার মাঠ বলে আমার মনে ছিল খাতির
খিড়কি পুকুর বুজিয়ে দে রা তুলেছে মস্ত বাড়ি
ওদের সাথে ভায়াদি কি – আছে, না ছাড়াছাড়ি?
বারোয়াড়ী দুর্গাপূজোয় আর ধূম হয় না জানি
পুজো ভুলে গাঁয়ের মানুষ রাজনীতিতে টানাটানি
সদর কোঠা বাড়িটাকি সাপের আড়ত হয়ে গেছে
ঐ ঘরেতেই জন্মেছিলাম শুনেছিলাম মায়ের কাছে
সরস্বতী যে দালানে পূজো দিয়ে মা যে তোর
বড় মানুষ করেও বৌমারকাছে সাজল চোর।
মধুর আমার মায়ের হাসি মায়ের কাছে শেখা গান
আজও নাকি ভুলতে বাকি সেটাই তোর মায়ের দান।
বলতে পারিস কোন যে সুরে গাইলে আজমনের টান।
নাতির জন্য কেন আজও রয়ে গেল মনের টান।
ভালো থাকিস তোরা খোকা বড় মানুষ হ না আজ
মনের কোনে থাকুক জমা ভালবাসার পান্না রাজ। ৃ