রাজকন্যার একাকিত্বের অসুখ —
মন তার মেঘলা আকাশ
একদিন জানলা দিয়ে
ঘরে এল এক পাখি
পাখির গানে ওর মন ছুঁয়ে গেল
বসন্তের বাতাস।
পাখিটা আপন মধুর খেয়ালে
গান গায় —
রাজকন্যার ঘরে আসে
আবার উড়ে যায় শীতল বাতাসে
সবুজের গায়ে গায়ে নীল আকাশে।
রাজকন্যার সুখে হিংসা হল
অন্য মেয়েদের —
ওর মনে ওরা বীজ বুনে দিল
সন্দেহের —
বলল, ভালো না এত স্বাধীনতা
খাঁচায় ভরো খাঁচায়
নিশ্চিত করো নিরাপত্তা!
নয়তো উড়ে গিয়ে
ফিরবে না কোনোদিন।
কন্যার মনে ব্যথা লাগে চিন চিন
ভাবে, পাখিটা কোথায় যায়
কী করে প্রতিদিন !
আজকাল অহেতুক মনে হয় —
পাখিটা বাইরে কাটায় বড়ো বেশী ক্ষণ
আর কারোকে মনে ধরে নি তো এখন?
একদিন তাকে খাঁচায় নিল —
সোনার খাঁচা, আইভরি দাঁড়,
ভালো ভালো খাবার —
পাখির কণ্ঠ রুদ্ধ হলো
গান তার আসে না আর
গান না গাইলে সে তো মরেই যাবে!
নিস্তেজ মনমরা পাখিকে দেখে
অস্থির কন্যা ভাবে —
ভালোবাসি, তাই হারাতে চাই না —
সেই তাকেই শেষে হারাতে হবে !
পাখিকে উড়িয়ে দিল কন্যা
বললো, যাও তোমার আপন দেশে —
ভালো থেকো
বাতায়ন আমার খোলা থাকবে
মন চাইলে আসবে অবশ্যই —
জানোতো, তোমার গানে ঘুমাই আমি
তোমার গানেই সকাল হবে।