মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় ক্ষনিকের
মায়ের মুখ মনে পড়ে না।
বার বার চেষ্টা করলেও মায়ের মুখ ভেসে ওঠে অস্বচ্ছ আয়নায়।
মায়ের ছিল অনুচ্চ কায়া।রোগগ্রস্থ, রাগী, খুব মনে পড়ে।মা সর্বদা বলতেন-“যে যা দেবে খেয়ে নিবি, খেয়ে দেয়ে বড় হয়ে যা।
.
“মা হয়ত বুঝতে পেরেছিলেন মরার পূর্বে-তাইতো এ নম্র উপদেশ।আমি তখন বড় ওয়ানে উঠেছি।মা আর স্কুল যাত্রা দেখতে পেলেন না।
.
তেল চিকচিকে চুল রুক্ষ, খুস্ক হল।আমার শরীরের যত্ন কমে গেল।আজও মায়ের কোলে বসে থাকা ফটোটা দেখি।সাদা-কালো ফটোটা কেমন যেন ফ্যাকাসে লাগে ,কিন্তু তুমি তিনখানি ফল দিয়ে চলে গেলে মা! আমরা তিন ভাই।
.
বৃক্ষ মা তুমি ফল দিয়ে মাটিতে মিশে গেলে।এ জানা থাকলে আরো তোমার গোড়ায় জল দিয়ে, তোমাকে আরো ক’টা দিন বাঁচিয়ে রাখতাম, তোমার মুখ দেখতাম, এই আকুতি তোমার সন্তানদের।
.
.
.
Related Posts
অনন্ত প্রতীক্ষায় এখনাে প্রহর গুনি
Leave a Comment
/ অবস্থা ব্যতিক্রম নয়, কবিতা / January 5, 2019 January 5, 2019 / By
sahitya patrika