যেখানে জন্মেছি আমি
তাকে গা বলে ঘেন্না কোরোনা যেন।
সেখানে সুন্দর প্রকৃতি
সবুজ দিয়েছে ঢেলে
বড় কোমল কমল
তার রূপ।
সেখানে মানুষে মানুষে নেই
কোনো হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা
সেখানে সকলে অত্যন্ত সহজ সরল
যেন ঐ বিকেলের ধূপ।
অতীব সুন্দর পশ্চিমাকাশে
সূর্য যবে যায় অস্তাচলে
ভোরের অরুন রক্তিম আভায় বসে
শিশুসহ মায়ের কোলে
বট অশ্বত্থ দেবদারু বাঁশঝাড়ে
শিউলি, চাঁপা কৃষ্ণচূড়ার ডালে
হিজল গাছে লাগে
দখিনা বাতাসের গুণগুণ
শারদীয়া আসে
কাশফুলের দোলনে।
আকাশ প্রদীপ জ্বলে
পূর্বপুরুষের স্মৃতিতে
ভরা কার্তিকে
নারকেল গাছের শিরে
দেখা যায়
সবুজ ডাবের কোলাহল
শোনা যায় দোয়েল শ্যামা
শালিক টিয়ার শিস্
হলুদ ধানে ভরে ওঠে মাঠ
সরষে ফুলে জাগে
বালিকার প্রেমের রাগে
অনন্ত যৌবন।
মাছরাঙা শুকনো ডালে বসে
খালেবিলে মাছের জন্য ওঁৎ পাতে।
শঙ্খচিল ঘুঘু
পায়রা ডাকে বিরহীনী প্রেমে।
সেখানে নদীর জলে
স্নান করে
রূপসী বিদূষী আট প্রৌঢ়া সহ
উদ্দাম শিশুর দল।
এসো তার রূপে
মুগ্ধ হয়ে
ডাকি তাকে
“মা মা”বলে।