খোশ মেজাজে
শেয়াল আর বেড়ালে
বাঁশবনের মাঝে
দুজনেতে নাচে গায়
খোশ মেজাজে আছে।
.
বন্ধু
মাথায় ঝুঁটি কাকাতুয়া
আদর করে ডাকে
ময়না বন্ধু আসে উড়ে
ছোলা দেয় তাকে।
.
ভাজাভুজি
খেতে চাস ভাজা ভুজি ?
পেটের ব্যামো হয় বুঝি !
খেতে পারিস আলুর চপ
বুক তবে ধপ ধপ,
খুশি যদি ভুঁড়ি
খা না একটা ফুলুরি,
গরম বেগুনী সঙ্গে মুড়ি
পাবে কোথায় এমন জুড়ি!
.
.
গোটা ষাট
শোন তুই ওরে লাট
বাঘ মেরেছি গোটা ষাট,
সিংহ মারি শত শত
মাংস ওর খাই কত !
তার খোঁজে ঘুরে মরি
গিরির জংগলে তলাস করি।
.
.
ছিপ ফেলি
মাছরাঙা মাছরাঙা
কোথায় তোমার বাস?
থাকি আমি রাঙা পাড়ায়
বাঙ্গলা দেশে খাস।
মাছরাঙা মাছরাঙা
মাছ তুমি খাবে ?
পুকুরে চল ছিপ ফেলি
কত মাছ পাবে।
.
.
বুলবুলি কই
বুলবুলির মা গো
বুলবুলি তোর কই
সে গেছে গরু চরাতে
পুকুর ঘাটে ওই।
.
.
খায় খুটে খুটে
টুকু আয় বুকু আয়
আয় ছুটে ছুটে
ময়না টিয়ার বন্ধু দেখ
খায় খুটে খুটে।
.
.
জ্বালায় বাতি
সিংহ সওয়ার হাতীর পিঠে
বাঁদর বসে সারথি
পিঁপড়ে ধরে ছাতা মাথায়
ভোঁদড় জ্বালায় বাতি।
.
.
ভোরের ফুল
রাত হয়েছে তারা ফুটেছে
আকাশে হাসে কে ?
আকাশে হাসে চাঁদ মামী
হামি দাও তাকে।
ভোর হয়েছে সূর্য উঠেছে
সঙ্গে তার কে ?
সঙ্গে তার ভোরের ফুল
বাতাসে নাচে সে ।
.
.
হয়ে গেলো কট
বাঁদর দৌড়োয় বল পায়ে
করবে এবার গোল
শেয়াল গোলে গোলকিপার
গালে তার টোল।
বাঁদর কাটিয়ে সকলকে
মারলো গোলে সট
বল ওড়ে আকাশে
হয়ে গেল কট।
.
.
মজার মেলায়
আমাদের এই মজার মেলায়
সবাই খেলে দাদুর ছড়ায়
বাঁদর বসে শান্ত হয়ে
গান বানায় ছড়া দিয়ে ,
আকাশে দেখ পাখি ওড়ে
এখানে সবাই গান ধরে,
ময়ূর এসেছে পেখম মেলে
ভালুক ওই নেচে চলে,
বাঘ শোনে চুপটি করে
বেড়াল তার কাঁধে চড়ে,
খুকু হাঁটে দাদুর ঘাড়ে
সিংহ তাকে আদর করে,
হাতি ওই সেলাম জানায়
শেয়াল চড়ে তার মাথায়,
দাদু কেমন ছড়া কাটে
সে ছড়া মোদের ঠোঁটে,
এস সবাই ছড়ার মেলায়
এখানে সবার মন জুড়ায়।
.
.
নেই পরণে জামা
খুকু কাঁদে মা মা
দাদা তার দেয় হামা
দৌড়ে আসে মামা
পরে নি সে জামা।
.
.
বাজিমাত
এই কাকা করলে কি?
করলে বাজিমাত !
বাঘের সঙ্গে লড়াই করে
তাকে কুপোকাত !
ঘরে এসে এবার
খাও মাছ ভাত।
.
.
কান মুলে
ডুগডুগিটা বাজতে থাকলে
শেয়াল গায় তালে তালে
ভল্লুক নাচে দুলে দুলে
বাঁদর দেয় কান মুলে।
.
.
বড় হয়েছে
তোমার খুকু বড় হয়েছে
নেই তার কান্না
নিজেই সে খেতে পারে
করে নিয়ে রান্না।
বাজার করে দাও তাকে
সবাই মিলে খাবে
খেয়ে সবাই বলবে
খুকু বেশ রাঁধে।
.
.
হাতী চলেছে
হাতী চলেছে শূর তুলে
সঙ্গে তার পুঁচ
তার লেজে ইঁদুর ঝুলে
পেছনে ছোটে ছুঁচো।
নেই পরণে জামা
খুকু কাঁদে মা মা
দাদা তার দেয় হামা
দৌড়ে আসে মামা
পরনে নেই জামা।
.
.
পুকুর ঘাটে
সাহাদের ওই পুকুর ঘাটে
সন্ধ্যে হলে বাজি ফাটে
হাট বসে সকাল হলে
লেন-দেনের অঙ্ক চলে
দুপুর হলে শুন্য ঘাটে
কেনা কাটা নেই হাটে।
পুজোর ছুটি
ঢাক বাজে ঢোল বাজে
পুকুর ঘাটে কারা
পুকুর ঘাটে খোকা-খুকি
নেচে বেড়ায় তারা
আজ থেকে পুজোর ছুটি
আনন্দে মাতহারা।
.
.
গাছ
মাছরাঙা মাছরাঙা
কোথায় তোমার বাস?
থাকি আমি রাঙা পাড়ায়
বাঙ্গলাদেশে খাস।
মাছরাঙা মাছরাঙা
খাবে তুমি মাছ?
বাগানে চল ধরে আনি
মাছ ফলায় গাছ।
.
.
ধুম পটাস
নাচে ভোঁদর খ্যামটা
দিয়ে মাথায় ঘোমটা,
করে মুখ ঝামটা
মলে দিই কানটা।
খেয়ে একটা টোটকা
বাঁদর বাজায় পটকা
বেজে ওঠে ঢাকটা
সংগে নাচে টাকটা
কি করিস ভাটকা ?
খাবি ঘাড় ধাক্কা,
পড়বি ধুম পটাস
দরজা বন্ধ খটাস।
.
.
ফিরে আসে
মেঘের গায়ে টকঝাল গন্ধ
চেখে দেখি সেটা পচা মন্দ,
বৃষ্টি নামে ঝরঝর
মেঘ কাঁপে থরথর,
খুকু ভয়ে ভেউ ভেউ
কুকুর ডাকে ঘেউ ঘেউ;
সব দরজা বন্ধ
পালায় কোথায় গন্ধ !
.
.
নৌকো ডুবলো
নৌকো করে পিসি ভাসে
দাঁড় বায় শেয়াল পিসে
তুফান ওঠে আকাশে
নৌকো ওড়ে বাতাসে
পিসে আমার ভয়ে মরে
বৈঠা ছেড়ে মশা ধরে
নৌকো তার ডুবলো
কি যে সবার হলো!
.
.
মাথায় শিং
শেয়াল বেড়াল দুই ভাই
নাই তাদের খাই খাই
মাঠে বসে বাঁশি বাজায়
সাপুড়ে আসে দৌড়ে সেথায়
সাপুড়ে নাচে ধিন ধিন
সাঁপ হাটে মাথায় শিং।
.
.
চিট পটাং
ঘটাং ঘট ঘটাং
এসে গেলো ফটাং
দৌঁড়ে যায় সটাং
পড়ে চিট পটাং
ঘটাং ঘট ঘটাং।
.
.
কাকের ঘরে
সিম গাছে কাকের ঘরে
কোকিল এসে ডিম পাড়ে
কাক ডিমে দেয় তা
কোকিল হয়ে পালালো যা:।
.
.
দেখবি আয়
আয় আয় দেখবি আয়
কেমন হেঁটে যায়!
দেখ ওর একটা শিং
নাচে ধিন্ ধিন্,
শিংটা তার ভোঁতা
মুখ তার থোঁতা,
মারে না তাই গোত্তা
সে বাড়ির কর্তা,
হাতে পরে চুড়ি
মস্ত একটা ভুড়ি,
মুখে কথা নেই
লাফায় ধেই ধেই,
গায় ধেরে গলায়
ঘুমোয় খাটের তলায়,
কাউকে দেখলে খুশ
নেই তার হুশ।
.
.
সব যে গন্ডগোল
পরীক্ষা দিয়ে যাই
নাম ওঠে না ভাই,
সময় বয়ে যায়
হায় হায় হায় !
তাই তাই তাই
পড়াশুনা নাই
দৌড়াই সাঁই সাঁই
ডিগবাজি খাই।
করলে পরে ফেল্,
নেড়ার মাথায় বেল !
ফেল্ ফেল্ ফেল্
কেমন দেখ খেল্ !
বল হরি হরি বোল্
সব যে গন্ডগোল।
.
.
হেসে লুটায়
বুড়ো মেঘ আকাশে এলে
ময়ূর ওই পেখম মেলে
টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ে
রোদ বন্ধু খেলা করে
শিশু মেঘ হেসে লুটায়
বুড়ো মেঘ ভয়ে পালায়।
.
.
গানের আসর
সন্ধ্যে হলে চাঁদ ওঠে
হাসি ভাসে খুকুর ঠোঁটে
ভোর হলে ফুল ফোটে
টাট্টু ঘোড়া খুব ছোটে
মেঘ কালো বৃষ্টি পড়ে
আনন্দের ঢেউ চাষীর ঘরে
হাসির মেলা চাষের মাঠে
গানের আসর পুকুর ঘাটে।
.
.
গোটা ষাট
পাঁচ ছয় সাত আট
বাঘ মেরেছি গোটা ষাট
সিংহ পেলে মারি
গিরির জংগলে বাড়ি
তার তলাসে ঘুরে মরি
বন্দুকে আমার গুলি ভরি।
.
.
বুঝি না
কলা খাও ধোকা খাও
বকা ঝকা মার
খাও তুমি কানমলা
ঘারধাক্কা তার।
আমি বসে মজা দেখি
কেমন খায় কালা!
জানি আমি এরপর
আমার খাবার পালা।
.
.
দিদুর ঠোঁটে
আয় আয় সবাই তোরা
কতরকম ছড়া
খাবি আয় টপাটপ্
গরম গরম বড়া।
ভোর হ`ল সূর্য ওঠে
বাগানে ফুল ফোটে
ছড়া কাটে দাদু মোদের
ছড়া দিদুর ঠোঁটে।
.
.
আবির মেখে
ভোর হয়েছে ফুল ফুটেছে
বাগানে হাসে কে,
বাগানে হাসে গোলাপ বন্ধু
মুখে আবির মেখে ।
.
.
খাবে কি
এক্কা দোক্কা টেক্কা
টেক্কা হাটে যায়
হাট থেকে কেনে কচু
এক্কা দোক্কা খায়
কাল হাটে হরতাল
ওরা খাবে কি ?
ওরা খাবে ভাত সেদ্ধ
সঙ্গে পাবে ঘি।
.
.
খোশ মেজাজে
শেয়াল আর বেড়ালে
বাঁশবনের মাঝে
দুজনেতে নাচে গায়
খোশ মেজাজে আছে।
.
.
দুটো কিং
ভীম ভীমা ভীম ভীম
ওরা দুটো কিং
গুতোয় ওদের শিং
খায় ওরা হিং
ভীম ভীমা ভীম ভীম
পাড়ে কটা ডিম ।
.
.
বাজলো ন’টা
রেলগাড়ি ঝিক্ ঝিক্
ঘড়ির কাটা টিক্ টিক্
আকাশে তারা মিট মিট
ন`টা বাজলো ঠিক;
বাজলো ন’টার ঘন্টা
খাবে এসো মন্ডা।
.
.
ফুটবল
গোল করেছে ছ’শো
এরই মধ্যে হ্যাটট্রিক
গুনে জেনেছি একশো।
ট্যাবে খেলে ফুটবল
আঙুল দিয়ে ছোঁয়
তাও নয় হ্যান্ডবল
সেরা ফুটবলার হয়।
.
.
নকুল বকুল
নকুল বকুল বেটে বাটুল
বকুল জলে ভাসে
নকুলের ওই ছোট্ট মেয়ে
ঘরে বসে হাসে।
.
.
নইলে মর
দাদু তোমার বুদ্ধি বটে
কী আছে যে ঘটে !
ঘটে একটু বুদ্ধি ধর
ধোকা খেয়ে নইলে মর।
.
.
দাদু নাচে দিদা নাচে
দাদু নাচে দিদু নাচে
বাঁদর বাজায় ডুগডুগি
সঙ্গে দেখ ভুতম নাচে
নাচে আমার ভুটভুটি ।
.
.
গাধার পিঠে
গাধার পিঠে হাদু চড়ে
উল্টে বসে খটাস
গাধা যেই বাঁয়ে ঘোরে
হাদু অমনি ধপাস
ফায়ার ব্রিগেড দৌড়ে আসে
ক্রেনের সঙ্গে বাঁধে,
বসিয়ে দেয় গাধার পিঠে
হাদু বসে কাঁদে।
রণেশ রায়ের ছড়া ও কবিতা
.